মারুফ, জাকেরের সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল গাজী

২৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে পথ দেখালেন মেহেদী মারুফ ও জাকের আলী। দুজনেই করলেন সেঞ্চুরি, উপহার দিলেন দুইশ ছাড়ানো জুটি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে উড়িয়ে দিয়ে জয়ে ফিরল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2019, 12:08 PM
Updated : 22 March 2019, 12:08 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে নাঈম ইসলামের দল। ২৫১ রানের লক্ষ্য ২৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার পথে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন ওপেনার মারুফ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসামুল হকের সঙ্গে ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ইমরুল কায়েস। অধিনায়কের সঙ্গে রনি তালুকদারের ৪৩ রানের আরেকটি ভালো জুটিতে ১ উইকেটে ৯২ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ায় গাজী।

২৬ রানের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানের সঙ্গে শামসুর রহমানের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। মাইশুকুর রহমানের সঙ্গে ৯০ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন পারভেজ রসুল। দুই চারে ৩১ রান করা মাইশুকুরকে হারিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন মুক্তার আলী।

এরপর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি গাজী। পরের ব্যাটসম্যানরা পারেননি প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে। ৮০ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৮৬ রানের ইনিংসে দলকে আড়াইশ রানে নিয়ে যান ভারতীয় অলরাউন্ডার রসুল।

রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রূপগঞ্জের। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম। মুমিনুল হককে ২ রানে ফেরান আবু হায়দার রনি। ম্যাচে এটাই ছিল গাজীর শেষ সাফল্য।

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মারুফের। টি-টোয়েন্টিতে শেষ আট ইনিংসে ছয়বারই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। শট খেলেছেন উইকেটের চারপাশে।

মারুফ দ্রুত রান তোলায় থিতু হতে বেশ সময় পেয়েছেন তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের। ধীরে ধীরে জমে যায় তাদের জুটি। কোনোভাবেই এই জুটি ভাঙতে পারেনি গাজী।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পঞ্চম সেঞ্চুরি পাওয়া ওপেনার মারুফের ১৩৭ বলে খেলা ১৩৭ রানের ইনিংস গড়া ১২ চার ও পাঁচ ছক্কায়। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২২৬ রানের জুটি উপহার দেওয়া জাকের করেন ১০৭ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া এই কিপার ব্যাটসম্যানের ১২৬ বলের ইনিংস সাজানো ১৩ চার ও এক ছক্কায়।

আগের সেরা ১২৭ ছাড়িয়ে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলা মারুফ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৫০ ওভারে ২৫০/৯ (ইমরুল ৪৮, তাসামুল ১৭, রনি ২৯, শামসুর ১, রসুল ৮৬, মাইশুকুর ৩১, তারেক ১৯, আবু হায়দার ৪, মেহেদি ৬, রাব্বি ১*; শহীদ ১/৫০, ধাওয়ান ১/৩৯, মুক্তার ২/৫৪, নাঈম ১/৩৪, মিজানুর ১/৪০, আসিফ ০/৩০)

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৫.৩ ওভারে ২৫৩/২ (মারুফ ১৩৭*, মোহাম্মদ নাঈম ০, মুমিনুল ২, জাকের ১০৭*; রুহেল ১/৪৬, মেহেদি ০/৪২, আবু হায়দার ১/৪১, রাব্বি ০/৫৯, রসুল ০/৪০, মাইশুকুর ০/১৬, শামসুর ০/৬)

ফল: লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদী মারুফ