বুধবার দুপুরে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উপাচার্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত, কাণ্ডজ্ঞানহীন ও নিন্দনীয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এবং ১৯৭৩ সালে প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয় বিধিমালা সমুন্নত রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার ৫২টি বিভাগের সভাপতিবৃন্দ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ক্লাশ বর্জন
উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তবে বুধবার বিভাগে কয়েকটি বর্ষের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবারও বিভাগে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমাম।
সৃষ্ট সংকট নিরসনে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান কাউন্সিল।
এদিকে, ক্যাম্পাসে থানা স্থাপন বন্ধ করা ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের নিয়োগ বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সাত দফার অন্য দাবিগুলো হলো পরীক্ষায় বিশেষ বিবেচনায় ৫ নম্বর গ্রেস প্রদান, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ, বাস টার্মিনালের উন্নয়নসাধন, বৃক্ষনিধন বন্ধ, মিথ্যা মামলায় আটক শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি এবং আবাসিক হল তল্লাশির সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিত থাকা।
গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
পরদিন ১৬ এপ্রিল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন, বিভাগ ও ছাত্র সংগঠনগুলো মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
প্রতিনিধি/একে/২১০৩ ঘ.
লিংক
রাবি উপাচার্য ‘লাঞ্ছনা’: রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা