সোমবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্টের ১৩ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সুদূর প্রসারী এবং দৃঢ়। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি পেতে চাই।
“এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে দারিদ্র্যদূরীকরণ বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের প্রকৃত উচ্চ শিক্ষিত নাগরিক তৈরি করতে হবে।”
“প্রকৃত শিক্ষাই পারে বিপুল জনগোষ্ঠীকে বোঝা থেকে সম্পদে পরিণত করতে।”
রাজধানীর রামপুরার আফতাব নগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনটি অনুষদের এক হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় স্বর্ণপদক পাওয়া চার শিক্ষার্থীর হাতেও পদক এবং সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।
শিক্ষার্থীদের মানসম্মতভাবে গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতি আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না, তবে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
“যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান তাদের সময় বেঁধে দিয়েছি। আইন মেনে চলতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
এসময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি এবং ব্যয়সীমার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদার দৃষ্টিভঙ্গি দেখানোরও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সমাবর্তনে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি-সাহিত্য ও মানবজীবন’ শিরোনামে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
এছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, উপাচার্য অধ্যাপক আহমদ শফি ও স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থী গাজী ইশা ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।