ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, র‌্যাবের জালে ধরা ৬

চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2022, 12:36 PM
Updated : 11 Oct 2022, 12:36 PM

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজধানীতে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে নিজেদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জানান র‌্যাব-১০ অধিনায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. সবুজ খাঁন (৪৬), মিন্টু পাটোয়ারী (৪০), রাসেল মোল্লা (৪৫), ইকবাল মিয়া (৩৯), মনিরুল ইসলাম (৪০) ও খোকন মিয়া (৪৫)।

তাদের কাছ থেকে তিনটি ভুয়া ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, দুইটি ওয়াকিটকি সেট, একটি হাতকড়া, একটি খেলনা পিস্তল, একটি হ্যান্ড ফ্লাশ লাইট, পুলিশ মনোগ্রাম সম্বলিত স্টিকার, সাতটি মোবাইল ফোন এবং নগদ প্রায় হাজার টাকা।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, “এই চক্রটি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিবি পুলিশ সেজে যাত্রাবাড়ী এলাকার ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলনকারী এক ব্যক্তিকে টার্গেট করেছিল।”

সবুজ খাঁন ওই চক্রের মূল নেতা জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন বলেন, “তারা মূলত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারী ও টাকা বহনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করে থাকে। এদের মধ্যে রাসেল ব্যাংক ও জনবহুল এলাকায় অবস্থান করে টাকা উত্তোলনকারী বা টাকা বহনকারী ব্যাক্তিকে অনুসরণ করেন এবং বিস্তারিত বর্ণনা ও অবস্থান মিন্টুকে জানান।

“মিন্টুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য সহযোগীরা ডিবি পুলিশের জ্যাকেট সদৃশ্য পোশাক পরে হাতে ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ নিয়ে ভাড়াকৃত মাইক্রোবাসে টাকা বহনকারী ব্যাক্তির কাছে আসে এবং নিজেদের ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয় বলে জানান তিনি।”

চক্রটির তৎপরতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে র‌্যাব-১০ অধিনায়ক বলেন, “টাকা বহনকারী ব্যক্তিকে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসায়ী বা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এক প্রকার জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়।

“এক পর্যায়ে চলন্ত অবস্থায় মারধর করতে করতে তার কাছে থাকা টাকা, মোবাইলসহ অন্যান্য মূল্যবান সকল জিনিস নিয়ে সুবিধাজনক নিরিবিলি স্থানে নিয়ে মাইক্রোবাস থেকে ফেলে পালিয়ে যায়।”

সবুজ খাঁনের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও পল্টন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাব কর্মকর্তা ফরিদ জানান, গ্রেপ্তার প্রত্যকের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে।