হাসিনাকে সুনাকের চিঠি, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

“আমাদের অংশীদারত্ব দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বের শক্তিশালী বন্ধনের এক গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত,” বলেন ঋষি সুনাক।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2024, 04:11 PM
Updated : 7 Feb 2024, 04:11 PM

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

বাসস জানিয়েছে, চিঠিতে সুনাক বলেছেন, “আপনি ঐতিহাসিক পঞ্চম মেয়াদে যাত্রা শুরু করায় এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় উন্নয়ন লাভের প্রতিফলন ঘটায়- আমি আমাদের দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারত্ব আরো জোরদার করতে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের প্রতি আমার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অংশীদারত্ব দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বের শক্তিশালী বন্ধনের এক গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। আমি আশা করছি, অধিকার এবং স্বাধীনতার অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনে সমঝোতার পরিবেশে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।”

সুনাক লিখেছেন, “এই মূল্যবোধগুলো কমনওয়েলথ পরিবারের মূল ভিত্তি এবং এগুলো প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করে।”

তিনি বলেছেন, “আমি অভিবাসনের বিষয়ে সহযোগিতাকে আমাদের দ্বিপক্ষীয় এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে দেখছি। আপনি যুক্তরাজ্যে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য সদয়ভাবে একটি টেকসই ও সুবিন্যস্ত পথকে সমর্থন করেছেন।

“আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার বৃহত্তর এজেন্ডার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা চূড়ান্ত হওয়ার প্রত্যাশা করছি।”

সুনাক বলেন, “আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং বিকাশকে অব্যাহত রাখতে আমি আপনার সাথে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।”

গত ৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের একাংশ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোট ‘সুষ্ঠু হয়নি’ বলে বিবৃতিতে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্যতা, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ওপর। মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে মানা হয়নি। ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যকে গ্রেপ্তারে আমরা উদ্বিগ্ন।”

তবে এক মাস পর শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে একসঙ্গে কাজ করার কথাই বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।