এছাড়া সাড়ে তিনশ’ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন, যা দেশের পৌনে পাঁচশ’ উপজেলার মোট পদ সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।
সোমবার ইসির সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রথমবারের মতো এ নির্বাচনে ৩৫২ সংরক্ষিত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন নারী সদস্যরা। সেই সঙ্গে ১৩টি সংরক্ষিত আসনে কোনো প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচিত ঘোষণা করবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তবে ১৫ জুনের পর সব নির্বাচিতদের গেজেট একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তা আশফাক।
১০ উপজেলার ১৩টি আসনে কোনো প্রার্থী না থাকায় ইসির সিদ্ধান্ত পেলে পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন দেশের পৌনে পাঁচশ’ উপজেলায় সংরক্ষিত আসনের ভোট হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে গত ৩০ মে প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ১২৬৬টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৫৬৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। এতে ভোটার রয়েছে ১১ হাজার ৩৫৪ জন; যারা ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী জনপ্রতিনিধি।
৩৫২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর বাকি ৯০১টি পদে লড়বেন ২১৫৮ জন।
এর মধ্যে অন্তত ৯৭ উপজেলায় কোনো ভোটের দরকার পড়বে না। বাকি প্রায় চার উপজেলায় ‘প্রত্যক্ষ ভোটে’ উপজেলা পরিষদের একটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে।
বর্তমানে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছে। সংরক্ষিত নারী সদস্যদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ হবে এ পরিষদ।
এসব নারী সদস্যরা আগামী আট মাসের জন্য দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।