প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেলেন মিজান

স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভানোর যন্ত্রের উদ্ভাবক যশোরের শার্শা উপজেলার মোটরসাইকেল মেকানিক মিজানুর রহমানকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2015, 03:29 PM
Updated : 31 March 2015, 03:29 PM

আগামী ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাতের দিন ধার্য হয় বলে নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম শরিফুল আলম।

ইউএনও জানান, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তারা শার্শায় এসে যন্ত্রটি দেখার পর খবরটি পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

সরকার এ ধরনের আবিষ্কারকে উদ্বুদ্ধ করতে সহযোগিতা করবে বলে জানান ইউএনও।

মিজানুর রহমান (৪৫) শার্শার শ্যামলাগাছি গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।

মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই যন্ত্রটি বাসা-বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য কোনো স্থানে রাখা হলে সেই স্থানে আগুন ধরলে যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই আগুন নেভাতে সক্ষম।

তিনি জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট বা যেকোনো প্রকারে আগুন ধরলে এ যন্ত্রটি মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে সংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করবে।

এছাড়া এই যন্ত্র থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও মালিকপক্ষকে মোবাইল ফোনে আগুন লাগার খবর জানিয়ে দেবে এবং হুইসেল দিয়ে আধা কিলোমিটার এলাকার সাধারণ মানুষকে আগুনের বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করবে।

তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে ওই যন্ত্রটির সঙ্গে একটি পানির ট্যাংকের সংযোগ থাকবে। আগুন লাগলে পাইপের মাধ্যমে ট্যাংক পানি আসতে শুরু করবে এবং আশপাশে পানি ছিটাতে থাকবে যন্ত্রটি।

এক বছরের গবেষণায় এই যন্ত্র তৈরিতে তার মাত্র মাত্র ছয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান মিজানুর।

মিজানুর রহমান জানান, সহযোগিতা পেলে এ যন্ত্রকে আরও আধুনিক এবং আরও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন করা যাবে।

এর আগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা এবং খুলনায় বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় মিজানের এ আগুন নেভানোর যন্ত্রটি সকলের দৃষ্টি কেড়েছে।

ওই মেলায় তার এ উদ্ভাবন প্রথম স্থান অধিকার করে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হুমাউন কবির।