এক নারী মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করে আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজু হাওলাদার পলাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মামলার আসামি পুলিশ সদর দপ্তরের সাপ্লাই শাখার এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী তদন্তাধীন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে বলে জানান পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান।
তবে তিনিও বলেছেন, “বিষয়টি তার একান্তই ব্যক্তিগত। যেহেতু এই ঘটনা আদালতে গড়িয়েছে এবং বর্তমানে তদন্তাধীন, সে কারণে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।”
ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে তা বন্ধুত্বে গড়ায়। এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে ২০২০ সালে তিনি গর্ভবতী হন। কিন্তু ওই বছরের ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন তার অজান্তে তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটান।
ওই নারী বলেন, এরপর তার চাপে গত বছরের ৬ জুন তাকে বিয়ে করেন মহিউদ্দিন। কিন্তু ২০২১ সনের ২ অক্টোবর তাকে তালাকের নোটিস পাঠান।