জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার প্রশ্নের জবাবে শনিবার সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
জাপার ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “দেশব্যাপী প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার খবর প্রচারিত হয়েছে। অনেক সময়ে ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নির্বাচনের সময়ে বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় সংখ্যা লঘু, নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা চালানোর অপচেষ্টা চালায় এই কারণেও নির্বাচনের সময়ে অনেক ধরনের সহিংসতার উদ্ভব হয়।”
প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪ ইউপি এবং ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়।
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ভোট হবে ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ১০০০ ইউপির ভোট রোববার। এরপর ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপিতে এবং পঞ্চম ধাপে দেশের ৭০৭ ইউপিতে ৫ জানুয়ারি ভোট হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় করছে বিভিন্ন পক্ষ।
এর মধ্যে সংসদে মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক সৃষ্টি রেখেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
“নির্বাচনী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশ এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা কমিশনকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে।”