সেপ্টেম্বরে ভোট শুরু করতে চায় ইসি

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঝুলে থাকা নির্বাচনগুলো আগামী সেপ্টেম্বর থেকে করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2021, 05:06 PM
Updated : 18 August 2021, 05:06 PM

এক্ষেত্রে আটকে থাকা সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার কমিশন সভা ডাকা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভা হবে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “কমিশন সভায় ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

“আদালতের বাধ্যবাধকতা মেনে সেপ্টেম্বরের ৪/৫ তারিখ উপনির্বাচন করতে হবে। সেই সঙ্গে স্থগিত ইউপি ও পৌরসভাগুলোর ভোট করা হবে। সেপেম্বরের শেষ নাগাদ এ নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি জানান, সিলেট-৩ উপনির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতেই হবে। আরেকটি উপনির্বাচন ও দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটের তারিখ নির্ধারণ নিয়েও কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১৬৩ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। সবশেষ ২১ জুন ২০৪ ইউপিতে ভোট হয়েছিল।

পরবর্তীতে ২৮ জুলাই তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ছিল। দুটি আসনে একক প্রার্থী হওয়ায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি।

সিলেট-৩ আসনের ভোট নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে স্থগিত হয় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে।

২৩ অগাস্টে সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে

>> সিলেট-৩ শূন্য আসনের স্থগিত নির্বাচন সম্পন্ন করা।

>> কুমিল্লা-৭ আসনের উপ-নির্বাচন।

>> স্থগিত ৯টি পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করা।

>> প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬৭টি ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন করা।

>> ইউপির দ্বিতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যক্রম গ্রহণ।

>> স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন এবং শূন্যপদে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ।

>> ১ জানুয়ারি ২০০৬ সাল বা তার আগে জন্মগ্রহণ করা বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা।

করোনাভাইরাস মহামারীর দেড় বছরে চলতি অগাস্টে বেশ খারাপ অবস্থা পার করছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় নয় দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।

ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এর মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। এরপর ১ অগাস্ট সব রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি মেলে।

১১ অগাস্ট থেকে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, বিপণি বিতান ও দোকানপাট ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ চালু করা অনুমতি দেওয়া হয়।