দুর্নীতির মামলায় ডিআইজি মিজানের বিচার শুরু

দুর্নীতির মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 10:29 AM
Updated : 20 Oct 2020, 05:40 PM

মঙ্গলবার ছয় নম্বর বিশেষ জজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এই মামলার অন্য অসামিরা হলেন মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

এদের মধ্যে মিজান এবং মাহমুদুলকে কারাগারে আছেন। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া, ছোট ভাই ও মাহবুবুর পলাতক। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়েছে।

এর আগে ঘুষ কেলেঙ্কারির এক মামলায়ও মিজানের বিচার শুরু হয়েছে। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

ম্ঙ্গলবার মিজান এবং মাহমুদুলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, শাহিনুর রহমান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহমেদ আলী সালাম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়।

অভিযোগ গঠনের পক্ষে মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, মিজান তার সম্পদের ঘোষণা দেন এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার। কিন্তু তিনি তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন করেন।

অন্যদিকে মিজানের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, “আমি সম্পদ বিবরণীতে কোনো কিছু কনসিল করিনি। আর মামলায় অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান নেই।”

মাহমুদুলের পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর অব্যাহতি চেয়ে বলেন, “আমার মোয়াক্কেল ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর সনদ নিয়েছেন। সেখানে তিনি বিস্তারিত আয় উল্লেখ করেছেন।তখন আয়কর বিভাগ কোনো আপত্তি দেয়নি।

“ডিআইজকে সম্পদের নোটিস দিলেও আমার মোয়াক্কেলকে নোটিস দেওয়া হয়নি। ডিআইজির নোটিস মাহমুদুলের ওপর প্রযোজ্য নয়। আমি কীভাবে ডিআইজি মামার ভাগীদার হলাম তখন তো (ঘটনার সময়), তিনি ডিআইজি ছিলেন না। দুনীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২), ২৭(১) ধারা এবং মুদ্রাপাচার আইনের ৪(২), ৪(৩) ধারা আমার মোয়াক্কেললের বিরুদ্ধে আসে না।সুতরাং তিনি অব্যাহতি পাবেন।”

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি ৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।