প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরা ঠেকাতে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিদেশ থেকে শ্রমিকরা যেন ফেরত না আসে, সে বিষয়ে শক্তিশালী ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে তিনটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2020, 12:38 PM
Updated : 12 Oct 2020, 12:38 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।

“মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে যে- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কীভাবে আরও বৈদেশিক আয় বাড়ানো যায়; বিদেশ থেকে আমাদের শ্রমিকরা যেন ফেরত না আসে সে বিষয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে হবে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রম যেমন- বাংলাদেশ থেকে ৬৫ লাখ পিপিই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়েছে।

“কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের ওষুধের উপকরণ আমদানি ও বিদেশি রপ্তানি, বৈধ ও অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের খাদ্য ও সেবা নিশ্চিত, চাকরি থেকে বরখাস্তকৃতদের দেনা-পাওনা এবং সম্ভব হলে ছয় মাসের বেতন-ভাতা প্রদানপূর্বক দেশে পাঠানোর প্রচেষ্টা, প্রবাসী শ্রমিকদের বিদেশে কর্মসংস্থান এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ওইসব দেশের ফান্ড গঠনের জন্য যোগাযোগে সাড়া পাওয়া গেছে।

“এতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে এবং আমাদের যারা বিদেশে কর্মহীন হয়ে পড়ে তারা আবার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজে ফিরতে পেরেছে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পোশাক শিল্পের ক্রয়াদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তার পরিপ্রেক্ষিত্রে সুইডেন রিভাইজ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে বাতিলকৃত ক্রয়াদেশ অধিকাংশই ফেরত আসে।

কূটনৈতিকদের জন্য একটা বিশেষ ব্যবস্থা ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যাতে তারা কোভিড আক্রান্ত হলে প্রোপার ট্রিটমেন্ট দেওয়া যায়।

“করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে সম্ভাব্য টিকা আবিষ্কারকদেরগুলোর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম থেকেই যোগাযোগ রাখছে। যার ফলে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সম্ভবানা আসছে তার পেছনে তাদের এ প্রচেষ্টা বড় ভূমিকা রেখেছে।”