আলোচিত এই মামলার ৮৫০ আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ১৬১ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা এটি।
মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন এবং সাজা বাতিলে এই আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে রোববার রায় দিতে যাচ্ছে হাই কোর্ট।
আসামিদের বিভিন্ন জন বিভিন্ন কারাগারে থাকায় এই রায়ের আগে সংশ্লিষ্ট কারাগারগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে কারা কর্মকর্তারা জানান।
পুলিশ বলছে, কারাগারগুলোর চার দিকে দৃশ্যমান ও সাদা পোশাকে পাহারা থাকবে, যাতে কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা চালাতে না পারে কেউ।
কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে কিছু আছে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার ১ এ আছে ২০ জন, কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ আছে ৩ শতাথিক জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে রয়েছেন একশ জনের মতো।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় থাকে। যেহেতু একটি রায় হতে যাচ্ছে। সুতরাং বাড়তি নিরাপত্তা তো অবশ্যই থাকবে।”
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, “রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে না পারে, সেজন্য কেন্দ্রীয়ভাবেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মিজানুর রহমান বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এবং ২ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিকও একই কথা জানান।
কাশিমপুর কারাগারের বাইরে কেমন নিরাপত্তা থাকবে- জানতে চাইলে জয়দেবপুর থানার ওসি বলেন, যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।