২২ জানুয়ারি নতুন ভবনে ইসি

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বিদায়ী নির্বাচন কমিশন চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন ভবনে অফিস করতে যাচ্ছেন।

মঈনুল হক চৌধুরী, জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2017, 05:06 PM
Updated : 3 Jan 2017, 05:06 PM

এর আগেই ইসি সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের সামগ্রী নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে।

বর্তমান কমিশনের ‘তাড়াহুড়ো’র মধ‌্যেই শনিবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। 

শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান ইসির কার্যালয়, যা ১৯৭৩ সাল থেকে রয়েছে। ইসির নিজস্ব ‘নির্বাচন ভবন’ আগারগাঁওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ে স্থানান্তর কাজ শেষ করার বিষয়ে সভা করেন অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান।

বৈঠক শেষে তিনি জানান, বর্তমান ইসি নতুন ভবনে অফিস করার সুবিধার্থে দু’সপ্তাহের মধ‌্যে সব কিছু স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আগামী ২১ জানুয়ারির মধ‌্যে সব কিছু নতুন ভবনে স্থানান্তর করব। ২২ জানুয়ারি থেকে সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা নির্বাচন ভবনে অফিস করব।”

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বতর্মান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন ইসি গঠন নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি। সেক্ষেত্রে নতুন ইসির যাত্রা শুরু হবে ‘নির্বাচন ভবনেই’।

নির্বাচন ভবন ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট নিয়ে নব নির্মিত ভবনের কাজ এ মাসের জুনের মধ‌্যেই শেষ করার কথা ছিল প্রকল্পের। কিন্তু তা দ্রুত শেষ করার তাগিদ ছিল ইসির।

‘তাড়াহুড়োর’ কারণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, “কারিগরি সব কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ‌্যে শেষ করা হয়েছে। কোনো তাড়াহুড়ো নয়; আমরা সব কিছু ইতিবাচকভাবে দেখছি।”

স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পার হলেও এতদিন নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। দীর্ঘদিন পরিকল্পনা কমিশনের চত্বরে দুটি ব্লকে নির্বাচন কমিশনের অফিস ছিল। 

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, পাকিস্তান আমলে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিশনার এর অফিস ছিল ইসলামাবাদে এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিস ছিল ঢাকার মোমেনবাগে। ১৯৭১ সালে মে-জুন মাসে মুক্তিযোদ্ধারা প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিসে বোমায় উড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর তা সচিবালয়ে স্থানান্তরিত হয়।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

২০১১ সালে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হয় ২১৩ কোটি টাকায়। একটি প্রকল্পের আওতায় দুটি বেইজমেন্ট ও ১২তলা বিশিষ্ট ১.২২ লাখ বর্গফুট আয়তনের ইটিআই ভবন এবং দুটি বেইজমেন্ট ও ১১তলা বিশিষ্ট ২.৫৮ লাখ বর্গফুট আয়তনের নির্বাচন ভবন নির্মাণ হল।