ডিবি কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন: আদেশ অপেক্ষমাণ

মামলার আবেদনে ডিবি পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছাড়াও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘নির্যাতন’ ও ৭৬টি চেকে ‘জোর করে সই নেওয়ার’ অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে যে মামলার আবেদন হয়েছে, সে বিষয়ে শুনানি শেষে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে আদালত।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বুধবার ওই আর্জির ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা শুনানি নেন। পরে তিনি বলেন, “কাগজপত্র পড়ে দেখে যদি আরো শুনানি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তা নিয়ে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।”

উত্তরার পোশাক ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলার এই মামলার আবেদন করেন।

সেখানে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. নাজমুল হককে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ডিবি পরিদশর্ক সাইফুল ইসলাম, সাভারের জালেশ্বরের সাইদুর রহমান হাবিব, উত্তরার ১১ নম্বর সেকটরের ২/১ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়ির মুকাররাম হোসেন জিমির নাম রয়েছে তালিকায়।

বাদীর আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো জানান, মামলার বাদী আতিকুর রহমান উত্তরার গোল্ডেন টাইমস সোয়েটার অ্যান্ড স্যুয়িং লিমিটেড এবং এএসআর কম্পিউটারাইজড সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ও চেয়ারম্যান।

মামলার আবেদনে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগী’ আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবসার ছদ্মবেশে প্রতারণার’ অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে ডিবি কর্মকর্তা নাজমুল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৯ সালে একটি মামলায় আতিকুর রহমান পুলিশ হেফাজতে ছিল। যে অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”

জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের স্পেশাল ক্রাইমের (উত্তর) উপকমিশনার তারেক বিন রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই ধরনের কোনো ঘটনা তার বিভাগে এবং তার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ঘটেনি।

“তারপরও বলব, যেহেতু একটি অভিযোগ হয়েছে। তা খতিয়ে দেখব, ঘটনাটি কী।”