হল-মার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় দুই হাকিমের সাক্ষ্য

আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১২ মার্চ তারিখ রেখেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2024, 01:10 PM
Updated : 4 March 2024, 01:10 PM

ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকার দুজন সাবেক মহানগর হাকিম।  

এক যুগ আগে মামলা হওয়ার পর ঢাকার তখনকার মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান ও কেশব রায় চৌধুরী তিনজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন। সোমবার তারা ঢাকার বিশেষ জজ মো. আবুল কাশেমের আদালতে সাক্ষ্য দেন। 

সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর আদালত আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১২ মার্চ তারিখ ঠিক করে দেয়।  

দুই সাক্ষীর মধ্যে কেশব রায় চৌধুরী এখন ঢাকার একজন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ। আর সাইফুর রহমান হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার হিসাবে কর্মরত। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৮ জানুয়ারি বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন। কিন্তু দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম সেদিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী দুই হাকিমের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করেন। বিচারক তা মঞ্জুর করে ৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন রাখেন। 

এ মামলার ১৯ আসামির মধ্যে হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সেনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে।

জামিনে রয়েছে দুই উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

এছাড়া প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সেনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি (ওএসডি) সোনালী ব্যাংক মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি পলাতক রয়েছেন। 

অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক।

তদন্ত শেষে দুদক অভিযোগপত্র দিলে ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।