বিশ্ব

নিখোঁজ বিমান নিয়ে নতুন তত্ত্ব

Byনিউজ ডেস্ক

উড্ডয়নের এক ঘণ্টার মাথায় ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে মাঝআকাশ থেকে উধাও উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে পড়েছে বলে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত টানলেও তার কোনো প্রমাণ মেলেনি এখনো।

এর মধ্যেই যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ হওয়ার নতুন তত্ত্ব হাজির করেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক অ্যাংলো-আমেরিকান সাংবাদিক নাইজেল ক্যাথর্ন।

বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি হারিয়ে যাওয়ার ৭১ দিন মাথায় ‘ফ্লাইট এমএইচ৩৭০: দ্য মিস্ট্রি’ শিরোনামের ওই বইটি অস্ট্রেলিয়া থেকে সোমবার প্রকাশ হচ্ছে বলে সান হেরাল্ড জানিয়েছে, যার ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

ক্যাথর্ন দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-থাইল্যান্ড যৌথ মহড়ার সময় মালয়েশিয়ার ওই বিমানটিতে গুলি লাগে।

বইয়ের শুরুতেই তিনি লিখেছেন- নিখোঁজ বিমানের যে কী হয়েছিল, তা এর যাত্রীদের স্বজনরা কখনো জানতে পারবেন না।

বিমান ভূপাতিত করার এই তত্ত্বটি ক্যাথর্ন এগিয়ে নেন নিউজিল্যান্ডের এক প্রত্যক্ষদর্শীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে।

মাইক ম্যাকে নামের ওই তেল শ্রমিক দেখেন, গত ৮ মার্চ একটি বিমান নির্ধারিত সিগনাল লাইন থেকে সরে যাওয়ার পর সৈন্যরা এটিকে গুলিতে ভূপাতিত করে।

ওই সময় দক্ষিণ চীন সাগরে একক ও যৌথসহ কয়েকটি দেশের মহড়া চলছিল। থাইল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া ছাড়াও চলছিল চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশের মহড়া।

ম্যাকে থাইল্যান্ড উপসাগরে যে বিমানকে ভূপাতিত হতে দেখেছেন বলে যে দাবি করেছেন, সেটা ‘ফ্লাইট এমএইচ৩৭০’  বলে লেখকের অভিমত।

সাংবাদিক ক্যাথর্ন বলেন, সেখানে জল-স্থল ও আকাশ অর্থাৎ ত্রিমুখী লড়াইয়ের মহড়া চলছিল। তাজা গুলি ছোড়ার প্রশিক্ষণও নিচ্ছিলেন সৈন্যরা।

লেখকের ভাষায়, “ধরুন একজন সৈন্য এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করে ফেলল। কিন্তু কেউ আরেকটি লকারবির জন্ম দিতে চাইল না।”

১৯৮৮ সালেও স্কটল্যান্ডের লকারবি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় আড়াইশ’ যাত্রীসহ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে প্যানঅ্যামের একটি বিমান, পরে এই হামলা চালানোর দায় স্বীকার করে লিবিয়া।

ক্যাথোমের এই বই নিয়ে ইতোমধ্যে অসন্তোষ জানিয়েছে নিখোঁজ বিমানের যাত্রীদের স্বজনরা। তারা বলছেন, বিমানটির আসলে কী হয়েছিল, তা নিশ্চিত হওয়ার আগে এই ধরনের বই লেখার মানে কী?

SCROLL FOR NEXT