নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ বঙ্গোপসাগরে?

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ বঙ্গোপসাগরে পাওয়ার দাবি করেছে একটি অনুসন্ধানী দল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2014, 04:52 PM
Updated : 28 April 2014, 06:01 PM

‘জিওরেজোন্যান্স’ নামে ওই অনুসন্ধান কোম্পানিকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ার সেভেন নিউজ সোমবার এই খবর দিয়েছে।

কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয়।

৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল। এরপর বিমানটি গতিপথ বদলে উল্টো  দিকে যাত্রা করার একটি সঙ্কেত মিললেও আর কোনো খোঁজ মেলেনি।

এরপর কয়েকদফায় বিভিন্নস্থানে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার দাবি করা হলেও তার কোনো সত্যতা মেলেনি।

এর মধ্যেই ‘জিওরেজোন্যান্স’ ভারত মহাসাগরের তলে বঙ্গোপসাগর অংশে বিমানের ধ্বংসাবশেষের ছবি পাওয়ার নতুন দাবি তুলল।

নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটির সন্ধানে সাগরের বিশাল এলাকাজুড়ে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দল অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে প্রায় দুই মাস ধরে।

তবে যে এলাকায় ‘জিওরেজোন্যান্স’ ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার দাবি করছে, তা ওই ক্ষেত্রের ৫ হাজার কিলোমিটার বাইরে।

বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধানে সাগরের উপরিভাগে অনুসন্ধান চললেও ‘জিওরেজোন্যান্স’ বলছে, এটা ভুল। আসলে খুঁজতে হবে সাগরতলে।

এই অনুসন্ধান অভিযানের নেতা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট সোমবারই বলেছেন, সাগরের উপরিভাগে ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সম্ভাবনা এখন আর নেই বললেই চলে।

এই অনুসন্ধান কোম্পানিটি নিখোঁজ বিমানের খোঁজে গত ১০ মার্চ তাদের কাজ শুরু করে।  

সাধারণত পরমাণু অস্ত্র কিংবা সাবমেরিন খুঁজে বেড়ায় তারা। ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজে ২ লাখ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালাতে শুরু করে তারা।

কোম্পানিটির কর্মকর্তা ডেভিড পোপ বলেন, “২০ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে আমাদের বিশেষজ্ঞরা। তারা তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেনি, তারা কী পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে।

“সেখানে একটি বাণিজ্যিক বিমানের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন পেয়ে তারা খুবই উজ্জীবিত। আমাদের ধারণা,  এটা মালয়েশিয়ার বিমানেরই কিছু উপাদান।”

‘জিওরেজোন্যান্স’ এর কর্মকর্তা পাভেল কার্সা বলেন, তারা একটি বোয়িং-৭৭৭ বিমানের গঠন উপাদানের কিছু পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, কপার, স্টিল ইত্যাদি।

নতুন পাওয়া এসব উপাদান মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িংটিরই কি না, তা খতিয়ে দেখতে  ‘জিওরেজোন্যান্স’ সাগরের ওই এলাকার ৫ মার্চের অর্থাৎ বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে তোলা চিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে।   

এরপর তারা মোটামুটি ধারণা নিলেও পোপ বলেন, “আমরা এখনো এটা বলছি না যে এই উপাদানগুলো নিখোঁজ বিমানটিরই। তবে এর সূত্র ধরে বিমানটির হদিস মিলতে পারে।”

বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর বাংলাদেশের নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান চালিয়েছিল, কিন্তু ১২ দিন খুঁজেও এর কোনো সন্ধান মেলেনি।