সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুই সপ্তাহের বেশি সময় আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্রিটেনের নতুন স্যাটেলাইট উপাত্ত বিশ্লেষণে বিমানটিকে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার পার্থ এর পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের মাঝ বরাবর দেখা গেছে।
নাজিব বলেন, “জায়গাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং প্রত্যন্ত। আর তাই গভীর সমবেদনা এবং দুঃখের সঙ্গে আমাকে জানাতে হচ্ছে যে, নতুন তথ্যমতে, ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরেই বিলীন হয়েছে”।
কুয়ালা লামপুরে গভীর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজিব এ বিবৃতি দেন। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স নিখোঁজ বিমানের যাত্রীদের স্বজনদের একথা জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিবিসি’ও এর আগে বিমানটির যাত্রীদের স্বজনদের কাছে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠাতে দেখার কথা জানিয়েছে। এতে লেখা ছিল, সন্দেহাতীত ভাবেই ধরে নেয়া যায় যে, বিমানটি হারিয়ে গেছে এবং কেউ বেঁচে নেই।
বিমানটির যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিল চীনের। বেইজিং এর একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে দুঃখে কেঁদে ফেলেন অনেকেই। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়া কাউকে কাউকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো।
কুয়ালা লামপুরে কান্নায় ভেঙে পড়া একজনের উক্তি, “আমরা এ মর্মান্তিক খবর মেনে নিয়েছি। এটা নিয়তি”।
ব্রিটিশ স্যাটেলাইট ফার্ম ইনমারসাত এবং যুক্তরাজ্যের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত শাখা ‘এএআইবি’ তথ্য-উপাত্তের নতুন বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার কথা বলল মালয়েশিয়া।
গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের বিমানটি ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে উধাও হয়ে যায়। তারপর থেকে ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিমানটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ার নৌ জাহাজ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে বিমানটির সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন।
সোমবার মহাসাগরে বেশ কিছু ভাসমান বস্তু দেখা যাওয়ার পর এগুলো নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলেই ধারণা করা হয়।
সিনহুয়া জানায়, “কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট সাদা বস্তুর সঙ্গে দুটি বড় সাদা বস্তু দেখতে পেয়েছে অনুসন্ধানকারীরা।”
সোমবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে তল্লাশি এলাকায় দুটি চীনা বিমান অনুসন্ধান চালায়।
এই দুটি বিমানের মধ্যে একটির ক্রু’রা সর্বশেষ ভাসমান বস্তুগুলো দেখতে পান। তারা অস্ট্রেলিয়ার মেরিটাইম সেফটি অথিরিটি (আমসা) কে বিষয়টি অবহিত করেন।