)
সমগ্র বাংলাদেশ

আহমদিয়াদের ওপর হামলায় ‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র’ দেখছেন রেলমন্ত্রী

Byপঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেছেন, “পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে তৌহিদি জনতার নামে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে এই সহিংসতা করেছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যে ষড়যন্ত্র করেছিল, এটি ধর্মের আড়ালে তাদেরই অপতৎপরতার একটি অংশ।“ 

রোববার বিকালে শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

শুক্র থেকে রোববার তিন দিনব্যাপী আহমদিয়া সম্প্রদায় সালানা জলসার আয়োজন করে। এই জলসা বন্ধ ও আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে পঞ্চগড় শহরে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধরা। 

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরে বড় মিছিল হয়। এ সময় মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক পুলিশের স্টেশন, পঞ্চগড় বাজার মার্কেটে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানপাট ভাঙচুর এবং বিকালে আহমদিয়াদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। 

এ সময় শহরের মসজিদ পাড়া মহল্লার ফরমান আলীর ছেলে আরিফুর রহমান এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জাহিদ হাসান নিহত হন বলে পুলিশ জানায়।

রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সরকারের কারণে ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।   

মির্জা ফখরুল বলেন, “এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা– এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি, তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে করছে।” 

তিনি বলেন, “শুধুমাত্র জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য, অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়।” 

ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “ধর্মের নামে বিএনপি-জামায়াত অস্থিতিশীল পরিবেশ জিইয়ে রাখতে চায়। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। 

তিনি বলেন, “প্রশাসনের উচিত অপরাধীদের দ্রুত খুঁজে বের করা। অপরাধী অপরাধীই; তারা কোনো দলের বা সংগঠনের না।“

প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আওয়ামী লীগও মাঠে রয়েছে জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “জানমাল রক্ষার জন্য আমরা সাধারণ মানুষের পাশে অতীতেও ছিলাম, এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।” 

এ সময় মন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, মনিরা পারভীন, কৃষক লীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবন। 

আরও পড়ুন: 

SCROLL FOR NEXT