বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আরও অপেক্ষা

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য শেষ পর্যায়ের একটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে জানিয়ে তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ পরীক্ষার প্রতিবেদন আসলেই চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানানো সম্ভব হবে।

“পরীক্ষার প্রতিবেদনে যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে খুব শিগগিরই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে। তবে সমস্যা থাকলে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় কেইপ কেনাভেরাল থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে গেলে বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়, বাংলাদেশও পড়ে সূচির জটে।

এরপর গত ৪ মে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ হয় । তবে এপ্রিলের শেষে এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৭ মে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের কথা জানান।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়।

এরইমধ্যে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণে নানা পরীক্ষা প্রায় শেষ হয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক মো. মেজবাহুজ্জামান জানিয়েছিলেন।

সরকারের আশা, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সেই অর্থ সাশ্রয় হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

SCROLL FOR NEXT