ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৫ টি ইউনিট গাজায় চলমান যুদ্ধের আগে এ ভূখণ্ডের বাইরে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে- বলছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিভাগ।
Published : 30 Apr 2024, 08:31 PM
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৫ টি ইউনিট পৃথক কয়েকটি ঘটনায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিভাগ অনুসন্ধানে এমনটিই খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে এরপরও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্রবিভাগ বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ ঘটনাগুলো ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের বাইরে এবং গাজায় চলমান যুদ্ধের আগে।
ইসরায়েল চারটি ইউনিটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পঞ্চমটির বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে। এর মানে হচ্ছে- সব ইউনিটই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য থাকবে।
ইসরায়েলকে সামরিক সমর্থন-সহায়তা দেওয়া প্রধান দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর যে কোনও ইউনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম বলে জানিয়েছে বিবিসি। পররাষ্ট্রবিভাগের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ টি ইউনিট চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
প্যাটেল বলেন, “এ ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এ লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে, যা আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে আশা করি। বাকি একটি ইউনিটের ব্যাপারে আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে তারা অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে।
“আমরা তাদের সঙ্গে একটি প্রক্রিয়ায় জড়িত আছি। এ প্রক্রিয়া যখন সম্পন্ন হবে, তখন আমরা ওই ইউনিটের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাব,” বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৯৭ সালে তৎকালীন মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহির প্রণয়ন করা আমেরিকার ‘লেহি আইন’-এর আওতায়, একটি বিদেশি সামরিক ইউনিট চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে, তাদের জন্য সামরিক সহায়তা বাতিল করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, লেহি আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা,গুম এবং ধর্ষণকে চরম ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে গণ্য করে।
এমনকী যখন এমন ঘটনায় কারও দায় খুঁজে পাওয়া যায় এবং সেক্ষেত্রে এই অপরাধে জড়িত পক্ষ বিষয়টি সংশোধন করে কিংবা ন্যায়বিচারমূলক পদক্ষেপ নেয়; আর তাদের নেওয়া এই পদক্ষেপে মার্কিন পররাষ্ট্রবিভাগ সন্তুষ্ট হয়, তাহলে সেই ইউনিটের জন্য সামরিক সহায়তা বহাল রাখার বিধানও রয়েছে।