মঙ্গলবার দেওয়া ওই হুমকিতে ফিলিস্তিনি ওই ভূখণ্ডটিতে আধিপত্য বিস্তার করার প্রত্যয়ও জানিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
সিরিয়ার আইএসের একটি ঘাঁটি থেকে প্রকাশ করা ওই ভিডিও বিবৃতিতে হামাসকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি ও ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের ক্ষমতায় থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী দল ফাতাহ’র সঙ্গে হামাসের সমঝোতার বিরোধিতা করে আসছে গাজার কট্টরপন্থী জিহাদিরা। সম্প্রতি জিহাদিদের দমনে তৎপরত হয়েছে হামাস।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ভিডিও বার্তায় আইএসের এক মুখোশ পরিহিত সদস্য হামাসকে ‘অত্যাচারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা ইহুদিদের রাষ্ট্রটির (ইসরায়েল), তোমাদের, ফাতাহ’র এবং সব ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের শিকড় উপড়ে ফেলব, আমাদের বাড়তে থাকা লোকজন তোমাদের ক্ষমতা ছাড়া করবে।”
“তোমাদের জায়গায় গাজায় শরিয়া শাসন চালু করা হবে। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, পূর্বাঞ্চলে আজ যা হচ্ছে, এবং নির্দিষ্টভাবে ইয়ারমুক শিবিরে, গাজায়ও তাই হবে।”
সিরিয়ায় আইএসের অগ্রযাত্রাসহ দামেস্কর একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের উল্লেখ করে এসব কথা বলেন তিনি।
সিরিয়া ছাড়াও প্রতিবেশী ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে সেখানে শরিয়া আইন চালু করেছে আইএস। এছাড়া মিশর, লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে।
অপরদিকে ফিলিস্তিনের হামাস ইসলামধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল। দলটি জিহাদপন্থীদের ইসরায়েলের প্রতি শত্রুতার অংশীদার হলেও জিহাদিদের বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় যুদ্ধ পরিচালনার অংশীদার হতে রাজি নয়। ফিলিস্তিনি জাতীয়বাদের পরিধির মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে চায় হামাস।
হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রতিবেশী মিশর হামাসকে আঞ্চলিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।
তাই আইএসের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের বিরুদ্ধে হামাসের চালানো অভিযান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে রত দেশগুলোর মনোযোগ তেমন আকর্ষণ করেনি।