ধারণা করা হচ্ছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার শিরশ্ছেদ এবং ফ্রান্সের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র মালিকানাধীন একটি রাসায়নিক প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার ফ্রান্সের প্রসিকিউটর বলেন, বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি তার ডেলিভারি ভ্যান নিয়ে প্ল্যান্টের গ্যাস কন্টেইনার রাখার গুদামে সজোরে আঘাত হানে। এ ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে ইয়াসিম সালহি নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এরপর পুলিশ এক ব্যক্তির ছিন্ন মস্তক খুঁজে পায়। পরে জানা যায়, নিহত ৫৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একটি পরিবহন ফার্মের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ওই ফার্মেরই কাজ করতেন সালহি।
এ ঘটনায় সালহি, তার স্ত্রী, বোন এবং চতুর্থ আরেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ইসলামপন্থিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন সালহি। যদিও এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
এ হামলার পেছনে কোন জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
লিয়ঁ শহরের সাঁ কোঁতা ফেলাভিয়ে এলাকায় এয়ার প্রোডাক্টস নামের ওই কোম্পানিতে ঠিক কি ঘটে ছিল সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান প্যারিসের পাবলিক প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মলিঁস।
তিনি বলেন, “ঠিক কি ঘটেছিল সেটা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যখন সে (সালহি) এলো তখন ঠিক কি ঘটেছিল। কোন পরিস্থিতিতে শিরশ্ছেদ হয়েছে, এর পেছনে কি কারণ এবং আর কেউ এর সঙ্গে জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”