যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিরোধী বিক্ষোভ 

ইসলাম ধর্ম ও ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নবীকে গালাগাল করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের একটি মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করেছে দুইশরও বেশি মানুষ। 

>>রয়টার্স
Published : 30 May 2015, 09:25 AM
Updated : 30 May 2015, 09:25 AM

শুক্রবার রাজ্যের ফিনিক্স শহরের ইসলামিক কম্যুনিটি সেন্টার ও মসজিদের সামনের এ বিক্ষোভে উপস্থিত অনেকেই ছিলেন সশস্ত্র, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 
 
উস্কানিমূলক এ বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বিরোধীরা আরেকপাশে পাল্টা সমাবেশ করে ‘নাৎসিরা, বাড়িতে চলে যাও’ বলে স্লোগান দেয়।
 
কয়েক সপ্তাহ আগে অ্যারিজোনার প্রতিবেশী টেক্সাস রাজ্যে মুসলিমবিরোধী এক কার্টুন প্রদর্শনীতে দুই বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। 
 
ইরাকযুদ্ধ ফেরত এক সাবেক সেনা সদস্য মুসলিমবিরোধী এ বিক্ষোভের উদ্যোক্তা। অনলাইনে পোস্ট করা এই ব্যক্তির ছবিতে তার পরনে টি-শার্টে ইসলাম বিদ্বেষী স্লোগান ও হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা আছে। 
 
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভকারী দুই পক্ষ একে অপরের প্রতি বিষোদগার করতে শুরু করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। এ সময় পুলিশ টেপ ও ব্যারিকেড ব্যবহার করে দুই পক্ষকে দ্রুত দূরে সরিয়ে দেয়। 
 
ইসলামবিরোধী বিক্ষোভের উদ্যোক্তা জন রিজহেইমার তার ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন, “টেক্সাসের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই প্রতিবাদ।” 
টেক্সাসের হামলাকারীরা ফিনিক্সের এই মসজিদটিতে নামাজ পড়েছিলেন। তাই এই বিক্ষোভের জন্য এই মসজিদটিকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
 

ফেইসবুকে ৯০০-র বেশি লোক এই বিক্ষোভে যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছিল। সন্ধ্যায় বিক্ষোভে লোকজন বাড়তে শুরু করলে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়। রায়ট হেলমেট ও গ্যাসমাস্ক পরা পুলিশ সদস্যরা শহরের কয়েকটি ব্লক ঘিরে রাখেন। 
ইসলামবিরোধী বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন ইসলামকে ‘খুনিদের ধর্ম’ বলে অভিহিত করে। সামরিক পোশাক পরা এসব ব্যক্তির হাতে আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। অন্যরা টেক্সাসের কাটুন প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত নবী মোহাম্মদের (সাঃ) ব্যঙ্গচিত্র হাতে নিয়ে স্লোগান দেয়। 
শুক্রবার রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সব বিক্ষোভকারী ও পুলিশ স্থানটি ছেড়ে চলে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখানে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি এবং পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি।