সরকার সমর্থক অভিযোগে তাদের বুধবার হত্যা করা হয় বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
তবে সংস্থাটির দেয়া এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, কট্টর মৌলবাদী ইসলামি সুন্নি সংগঠন আইএস গেল সপ্তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে। এরপর তারা শহরের অন্ততপক্ষে ২শ’ মানুষকে হত্যা করে এবং ৬শ’ মানুষকে জিম্মি করে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি কর্মী রামি আবদুলরহমান পালমিরায় অবস্থানকারী এক সূত্রের বরাতে বলেন, “তারা (আইএস) রোমান অ্যাম্ফিথিয়েটারে অন্ততপক্ষে ২০জনকে হত্যা করে এবং অন্যদের সেটি দেখতে বলে।”
ইসলামিক স্টেটের সমর্থকরা তাদের ট্যুইটার পৃষ্ঠায় লিখেছেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে অ্যাম্ফিথিয়েটারের মধ্যে হত্যা করা হয়।
গেল সপ্তায় সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে সিরিয়ার ঐতিহাসিক শহর পালমিরার দখল নেয় আইএস। এই প্রথম সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো শহর সরাসরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।
সিরিয়ার বিরোধী আন্দোলনকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, আইএস জঙ্গিরা পালমিরা দখলের পর নগরীটির রাস্তায় কয়েকশ মৃতদেহ পড়ে থাকে।
রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে গড়ে ওঠা পালমিরা নগরীর আরবি নাম তাদমুর। নগরীতে বেশ কয়েকটি মন্দির, বিশাল বিশাল স্তম্ভের সারি এবং একটি থিয়েটার রয়েছে।
সিরিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত পালমিরার প্রাচীন অংশটি দুই হাজার বছরের পুরনো। এখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো দুই হাজার বছর ধরে টিকে আছে।
এর আগে আইএস জঙ্গিরা ইরাকে দুই প্রাচীন নগরী নিমরুদ ও হাত্রা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়।