যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দেড় লাখ ডলার নেয়ায় পুনরায় বিচারে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে বিবিসি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিউ ইয়র্কভিত্তিক অর্থলগ্নীকারক মরিস তালানস্কির কাছ থেকে ওই অর্থ গ্রহণের অভিযোগে থেকে ২০১২ সালে ওলমার্টকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু পরে ওই অভিযোগসংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রকাশ হওয়ার পর ফের বিচারের আদেশ দেয়া হয়। নথিপত্রে দেখা যায়, ওলমার্ট ইসরায়েলের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে ২০০০ সালের প্রথম দিকে ওই অর্থ গ্রহণ করেছিলেন।
পুনরায় বিচারে ওই মামলাতেই মার্চে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। রায় ঘোষণার পর তার আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে জানিয়েছেন।
২০১৪ সালে অন্য একটি ঘুষ গ্রহণের মামলায় তার আরো ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ওই বছরের মে মাসে দেয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন তিনি।
১৯৯০-র দশকে জেরুজালেমের মেয়র থাকাকালে আবাসন প্রকল্পের একটি চুক্তি করতে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
৬৯ বছর বয়সী ওলমার্ট ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এতে তার রাজনৈতিক জীবনেরও ইতি ঘটে।
তার পদত্যাগে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। কারণ তার পদত্যাগ কট্টরপন্থী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দেয়। শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
নিজেকে সবসময়ই ‘নির্দোষ’ দাবি করে আসছেন ওলমার্ট। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘নিষ্ঠুর ও ভিত্তিহীন ডাইনি-শিকার’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।