যুক্তরাষ্ট্রের ‘শেষ’ দেখতে চেয়েছিলেন লাদেন

আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংসই’ দেখতে চেয়েছিলেন, যা উঠে এসেছে তার লাইব্রেরিতে পাওয়া বেশ কিছু নথিপত্রে। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2015, 06:12 AM
Updated : 21 May 2015, 06:18 AM

যে বছর যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডোদের গুলিতে লাদেন প্রাণ হারান, সেই বছরই তিনি নিজের অনুসারীদের আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জীবনের শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।  

২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের এক বাড়িতে হানা দিয়ে বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডোরা।

অভিযানের সময় ওই বাড়িতে লাদেনের একটি লাইব্রেরির খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে ডেপুটিদের কাছে লাদেনের লেখা আরবি ভাষার নির্দেশনা, চিঠিসহ ১০৩টি নথি এবং কিছু ভিডিও ফুটেজ মেলে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয় (ওডিএনআই) সম্প্রতি এসব নথি প্রকাশ করেছে।   

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লাদেনের লাইব্রেরির এসব নথিপত্রে আল কায়েদার বিভিন্ন অভিযানের তথ্য পাওয়া গেছে। ইংরেজিতে লেখা কিছু নথিও এর মধ্যে রয়েছে।

দশ বছর ধরে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর অ্যাবোটাবাদে আত্মগোপনে থাকা বিশ্বের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই জঙ্গি নেতার হদিস পায় যুক্তরাষ্ট্র।

প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি চিঠিতে বিন লাদেন তার ডেপুটিদের ‘আমাদের ভাই’ সম্বোধন করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা দেন।

চিঠিতে লাদেন লেখেন, “আমেরিকা নামের বিষাক্ত গাছটি উপরে ফেলাই হবে মূল কাজ।”

আরেকটি চিঠিতে সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে উপহাস করে বলা হয়, “এই লড়াই ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে।”

ইরাক, আফগানিস্তান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ফ্রান্সের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর কিছু প্রতিবেদনও পাওয়া গেছে লাদেনের বাড়ি থেকে।

এছাড়া আত্মঘাতি হামলা মোকাবেলার গাইড, বব উডওয়ার্ডের বই ‘ওবামাস ওয়ার্স’; কিছু মানচিত্র এবং ভিডিও গেমের কিছু গাইডও রয়েছে এসব নথির মধ্যে।

কয়েকজন স্ত্রীর মধ্যে একজনকে উদ্দেশ্য করে আল কায়েদা প্রধানের একটি ভিডিও বার্তাও পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি নিজের অস্থির জীবনে পাশে থাকার জন্য স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

লাদেনের বাড়ি থেকে পাওয়া কিছু নথিপত্র এর আগে তদন্তের কাজে ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমির গবেষণা বিভাগও ২০১২ সালে কিছু নথিপত্র প্রকাশ করেছিল।