শনিবার বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের সবচেয়ে বড় এ শহরটিতে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারীরা প্রথমে শহরজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার পর হঠাৎ করেই কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশের গাড়ি ও দোকানের সামনের কাঁচ ভাঙা শুরু করে।
এ ঘটনায় অন্তত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত ফ্রেডি গ্রেকে ১২ এপ্রিল আটক করে পুলিশ। এক সপ্তাহ পর মেরুদণ্ডে আঘাত জনিত কারণে ২৫ বছর বয়সী এই তরুণের মৃত্যু হয়।
ফ্রেডির যমজ বোন ফ্রেডরিকা গ্রে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমার পরিবার কোন ধরনের সহিংসতা চায় না। ফ্রেডি গ্রেও এটা চাইত না।”
বাল্টিমোর মেয়র স্টেফান রাওলিংস-ব্লেক বলেন, বিশৃঙ্খলার খবরে ফ্রেডরিকা গ্রে ‘খুবই হতাশ হয়েছে’। এ পরিস্থিতির জন্য বিক্ষোভকারীদের দায়ী করেন মেয়র।
ফ্রেডির মৃত্যুর ঘটনায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
গত কয়েকমাস ধরে আমেরিকায় পুলিশের হাতে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।