সদ্য সিয়েরা লিওন থেকে ফিরে পায়োট বিবিসি’কে বলেন, সেখানে ইবোলা পরিস্থিতির উন্নতি দেখে আর এ রোগ প্রতিরোধী নতুন থেরাপির নিশ্চয়তা পেয়ে তিনি উৎসাহ বোধ করছেন। তবে ইবোলা ভাইরাসের টিকা তৈরি হতে এখনো সময় লাগবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
ইবোলার প্রকোপে এ পর্যন্ত ৭ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া এবং গিনিতে।
১৯৭৬ সালে প্রফেসর পায়োটই প্রথম ইবোলা ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পান। তিনি এখন ‘লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ এর পরিচালক।
তিনি বলেন, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে আগামী কয়েক সপ্তাহে ইবোলার প্রকোপ চরমে পৌঁছলেও এটি থিতিয়ে আসতে কিছুটা দীর্ঘ সময় নিতে পারে এবং এর মাত্রাও কমবেশি হতে পারে।
“ইবোলা সঙ্কট এখনো সেখানে অনেকটাই আছে। মানুষ এখনো মরছে এবং ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। আর সেকারণে ২০১৫ সাল জুড়েই এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘ এবং কার্যকর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে” বলে পায়োট উল্লেখ করেন।
তবে তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনে চিকিৎসার উন্নতি দেখে তিনি উৎসাহ বোধ করছেন। সেখানে নতুন নতুন চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষকে আর মরে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে না।