ক্রিমিয়ায় সব ধরণের পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপরও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
Published : 20 Dec 2014, 06:31 PM
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনই রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল মেনে নেবে না।
“যুক্তরাষ্ট্রের যে সব কোম্পানি ওই অঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসা করছে তাদের পরিষ্কার একটি ধারণা দেয়ার জন্য এই নির্বাহী আদেশ প্রদাণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার অবৈধ দখলদারি যে কখনই মেনে নেবে না সেটাও সুস্পষ্ট করে জানিয়েছে দেয়া হলো।”
মার্চে ইউক্রেইনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ছিনিয়ে নেয় রাশিয়া।
ইউরোপিয় ইউনিয়নও (ইইউ) ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার ওপর প্রায় একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যেটা শনিবার থেকে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে।
কানাডাও শুক্রবার ক্রিমিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ক্রিমিয়া দখলের পর ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীরা এপ্রিলে দেশটির শিল্পনগর দোনেস্ক ও লুহানস্কের কিছু অংশ দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
গত কয়েকমাসে ইউক্রেইন সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধে ৪৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গৃহহীন হয়েছে দশ লাখের বেশি মানুষ।
পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা রপ্তানী নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি এখন থেকে ক্রিমিয়ায় কোন জমি ক্রয় বা ব্যবসা করতে পারবে না। এমনকি ক্রিমিয়ার কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগও করতে পারবে না।
এছাড়া ইউক্রেইনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে উসকানি দেয়ার অভিযোগে ইউক্রেইন ও রাশিয়ার ২৪ জন ব্যক্তি এবং রাশিয়ার কয়েকটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতি পূর্ব ইউক্রেইনের উত্তেজনা কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা বলেন,
“আমি আবারো রাশিয়ার প্রতি ক্রিমিয়ার অবৈধ দখল ছেড়ে দেয়া, পূর্ব ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীদের সমর্থন না দেয়া এবং মিনস্ক চূক্তির প্রতিশ্রুতিগুলো মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।”
যদিও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ফোনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে বলেছিলেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ দুই দেশের মধ্যে ‘দীর্ঘদিনের জন্য’ সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।