স্থানীয় সময় সোমবার রাতে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল) রায় ঘোষণার পরপরই সহিংসতা শুরু হয়।
রায় ঘোষণার আগেই ফার্গুসনের পুলিশ দপ্তরের সামনে জড়ো হওয়া কয়েকশ মানুষ আশপাশের দোকানপাটের সামনের জানালা ভাংচুর করে, রাস্তায় থাকা অন্ততপক্ষে দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। গুলির শব্দও শোনা যায়।
দাঙ্গাকারীদের থামাতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ফ্লাশ-ব্যাং ক্যানিস্টার ব্যবহার করে।
প্রতিবাদকারীদের একটি দল কিছু সময়ের জন্য পুলিশের একটি গাড়ির ওপর চড়াও হয়। গাড়িটিতে পাথর নিক্ষেপ করে জানালাগুলো ভাংচুর করে। দাঙ্গা পুলিশের একটি দল সেদিকে এগিয়ে গেলে তারা সরে যায়।
গুলির আওয়াজে কিছু সময়ের জন্য পুলিশ তাদের গাড়ির পেছনে আশ্রয় নেয়।
ফার্গুসনে সহিংসতা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে।
নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারী নাগরিক অধিকারকর্মী অ্যাল শার্পটন বলেন, “আমরা যারা ন্যায় ও স্বচ্ছ বিচার চেয়েছিলাম, এই রায় তাদের জন্য একটি পরিষ্কার আঘাত।”
বিচারকরা যেখানে বসেছিলেন মিজৌরির সেই ক্লেটনে প্রায় অর্ধশতক প্রতিবাদকারী রায় ঘোষণার পর আদালতের সামনে মৌনভাবে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ জানান।
রায়ে ক্ষুব্ধ ক্লেটনের বাসিন্দা আন্তোনিও বার্নস (২৫) বলেন, “বিচার বিভাগ কীভাবে কাজ করে এটি তার একটি নমুনা। ধনীরা ওই উপরে আর গরীবরা এই নিচে।”
৯ অগাস্ট ফার্গুসনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসন। ব্রাউনকে লক্ষ করে ১২টি গুলি করেছিলেন উইলসন। শেষ গুলিটি ব্রাউনের মাথায় লাগে।