শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ায় ১৮ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা-২০১৪’ বিজয় মুকুট জিতেন ফাতমা। নাম ঘোষণার পরই কেঁদে ফেলেন ২৫ বছর বয়সী এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
মাথায় বিজয়ীর মুকুট পরার পর ফাতমা বলেন, “পরম করুণাময় আল্লাহ’র সহায়তায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমার চাওয়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা। দয়া করে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করুন এবং সিরিয়ার জনগণকে মুক্ত করুন।”
ফাতমার পুরষ্কারের মধ্যে একটি সোনার ঘড়ি, সোনার দিনার ও মক্কা শরীফের ছোট একটি প্রতিকৃতিও রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, হিজাবে মাথা ঢেকে এবং শরীর ঢাকা পোশাক পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রতিযোগীরা।
বিচারকরা শুধু মাত্র প্রতিযোগীদের দৈহিক সৌন্দর্য্য দেখে তাদের বিচার করেননি। বরং তারা কতটা শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করতে পারেন এবং আধুনিক জীবনে ইসলাম সম্পর্কে প্রতিযোগীদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়।
বাংলাদেশের তারাননুম তাসনিম সেরা ১৮ জনের মধ্যে ছিলেন। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক।
মূলত ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় নারীদের খোলামেলাভাবে উপস্থাপনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা অ্যাওয়ার্ড’ এর যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিযোগিতাটি ২০১৩ সালে প্রথম বিশ্ববাসীর নজরে আসে। সেবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদস্বরূপ আয়োজকরা বালি দ্বীপে প্রায় একই সময়ে ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। ওই বছর মুসলিম বিশ্বের সেরা সুন্দরী হন নাইজেরিয়ার আয়েশা।