নিহতরা হলেন, আবু আবদুল্লাহ আল-হাবশি (২১) ও আবু ধারদা (২০)। তারা লন্ডনের বাসিন্দা ছিলেন।
আইএস সূত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটির সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কোবানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় তারা নিহত হয়।
যদিও খবরের সত্যতা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিবিসির পক্ষ থেকে ওই দুই জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
আইএসে যোগ দেয়া ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর লন্ডনে বসবাস করা আল-হাবশির পরিবার আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া থেকে এসেছে। ১৬ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আল-হাবশি।
বিবিসির প্রতিনিধি সেকান্দার কেরমানি গত অগাস্টে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আল-হাবশির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তখন আল-হাবশি জানিয়েছিলেন, তিনি প্রায় নয় মাস আগে সিরিয়া যান এবং সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করেন।
অনলাইনে আইএস প্রকাশিত সর্বশেষ দুটি ভিডিওতে আল-হাবশিকে দেখা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের ধারণা, পাঁচশরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে। যদিও আল-হাবশি বলেছিলেন, ইরাকে অল্প কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক যুদ্ধ করছেন এবং তিনি তাদের একজন।
সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ধারদা পশ্চিম লন্ডনে বড় হয়েছেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি।
কেমানির দাবি, ধারদা যুক্তরাজ্য ছাড়ায় সময় বিমানবন্দরে সন্ত্রাস দমনে নিযুক্ত পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কিন্তু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক উত্তর দেয়ায় তাকে সিরিয়া ‘ভ্রমণের’ অনুমতি দেয়া হয়।
তবে ধারদা সম্পর্কে পুলিশ বিবিসিকে কিছু জানাতে রাজি হয়নি।