ইবোলা ঠেকাতে জরুরি তহবিল গঠিত

আফ্রিকার শীর্ষ ব্যাবসায়ীদের সহায়তায় ইবোলা আক্রান্ত দেশগুলোর জন্য দুই কোটি ৮৫ লাখ ডলারের জরুরি সাহায্য তহবিল গঠিত হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2014, 03:51 PM
Updated : 8 Nov 2014, 03:51 PM

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এক বৈঠকে জরুরি তহবিলের ওই অর্থের ঘোষণা আসে।

তহবিলের মাধ্যমে গিনি, সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়ায় অন্তত এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে। পশ্চিম আফ্রিকার ওই তিনিটি দেশে ইবোলা সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইবোলা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে হলে সবার আগে ওই তিনটি দেশে সংক্রমণ রুখতে হবে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার মানুষ ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই ওই তিন দেশের।

আদ্দিস আবাবার বৈঠক শেষে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দলামিনি জুমা বলেন, “ভবিষ্যতে এ ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অর্থ সংগ্রহিত হয়েছে।”

চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন মেডিসিনস সান ফ্রন্টিয়ারস(এমএসএফ)লাইবেরিয়ায় দাতব্য চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়েছে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমএসএফ জানায়, দাতব্য চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে তারা লাইবেরিয়ায় নতুন করে ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষেত্রে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।

এরপরই ইথিওপিয়ায় ওই বৈঠক বসে।

এমএসএফ’র ইবোলা রেসপন্স কমিটির প্রধান ক্রিস স্টকস বিবিসিকে বলেন, ”আমরা লাইবেরিয়ায় নতুন করে ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সক্ষম হয়েছি। এর অর্থ এখনো স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ শুরু করার সুযোগ আছে।”

ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে লাইবেরিয়াতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই দেশটির চিত্র পাল্টে যায়।

গত সপ্তাহে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের ইবোলা চিকিৎসা কেন্দ্রের ৬৯৬টি বিছানার দুই-তৃতীয়াংশই খালি পড়ে আছে।

লাইবেরিয়া সরকার দেশজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি চালাচ্ছে। তারা সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্যকর উপায়ে জীবন যাপন করার অভ্যাস গড়ে তোলার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। দেশজুড়ে ভবনগুলোতে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থাও করেছে।