‘ইবোলা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠ অর্থ-সরঞ্জাম নেই জাতিসংঘের’

ইবোলা আক্রান্ত পশ্চিম আফ্রিকার ৩টি দেশ সফর শেষে জাতিসংঘের একটি মিশনের প্রধান টনি ব্যানবেরি জানিয়েছেন, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পর্যাপ্ত অর্থ ও সরঞ্জাম তার কাছে নেই। আর এ কারণে দ্রুত আরো সহায়তার প্রয়োজন।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2014, 07:07 AM
Updated : 7 Nov 2014, 07:07 AM

পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন, গিনি এবং লাইবেরিয়ায় ইবোলা মহামারী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত ৪৮০০’র বেশি মানুষ দেশ তিনটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

তবে তিনি এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে কয়েকটি দেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

জাতিসংঘের যে মিশন এই ভয়াবহ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে তিনি তার প্রধান।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও কিউবার প্রশংসা করে তিনি জানান, রোগটি মোকাবিলায় এই তিনটি দেশই বেশি সংখ্যক সেনা ও চিকিৎসাকর্মী পাঠিয়েছে।

অবশ্য, যুক্তরাজ্য সিয়েরা লিওনে একটি নতুন চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

টনি ব্যানবেরি

ইবোলা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে যে তিনটি দেশে, পশ্চিম আফ্রিকার সেই দেশগুলো সফর শেষে ব্যানবেরি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত আরো অনেক বেশি সহায়তার প্রযোজন।

দেশগুলোর কোন কোন অঞ্চলে এই রোগ এখনো বড় পরিসরে সংকট হয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। রোগটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বড় ধরনের কোন সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হয়নি। আর এ কারণে আমাদের অনেক বেশি অর্থ প্রয়োজন, যাতে করে আরো বিস্তৃত পরিসরে, ব্যাপক অঞ্চলভিত্তিক কাজ করতে পারি। সেই সঙ্গে যেখানেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব থাকবে সেখানেই যেন একে ধ্বংস করা সম্ভব হয়"।

এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৪৮১৮ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। তবে এই পরিসংখ্যান গত সপ্তায় প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে কিছুটা কম।

অনেক জায়গায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় এতে আক্রান্তের সংখ্যা যত বলা হয়েছিল সেই সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আর ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেসব কর্মপন্থা ও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তারও একটা প্রভাব যে পড়ছে, পরিসংখ্যানে তারই আভাস পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এই ইতিবাচকতা সত্বেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ ব্যাপকমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে এখনো মুক্ত হওয়া যায়নি। ফলে এখনই থেমে যাওয়ার সময় নয়। কারণ বহু আক্রান্তের খোঁজ এখনো পাওয়াই যায়নি।