পেশমেরগার প্রবেশ নির্বিঘ্ন করতে কোবানিতে বিমান হামলা

সিরিয়ার সীমান্ত শহর কোবানিতে ইরাকি কুর্দি পেশমেরগা বাহিনীর প্রবেশ নিরাপদ করতে শহরটির চারদিকে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনী।

>>রয়টার্স
Published : 31 Oct 2014, 03:40 PM
Updated : 31 Oct 2014, 03:40 PM

ভারী অস্ত্রসজ্জিত পেশমেরগা বাহিনী শুক্রবার তুরস্ক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কোবানিতে প্রবেশ করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পেশমেরগা বাহিনীর ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল কোবানিতে প্রবেশ করেছিল। তারা মূলত ওয়াইপিজি’র (সিরিয়ার অস্ত্রধারী কুর্দি যোদ্ধা দল। এরাই মূলত কোবানি প্রতিরোধ যুদ্ধে লড়ছে) নেতাদের সঙ্গে যৌথ ভাবে যুদ্ধকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর সুরুকের তুলা প্রক্রিয়াজাত করার একটি গুদামের ভেতর থেকে পেশমেরগা বাহিনীর সাঁজোয়া যানগুলো বের হয়ে কোবানির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই বহরে প্রায় ১৫০ জন যোদ্ধা রয়েছে। তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাহারা দিচ্ছিল।

কোবানির একজন শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে আইএস জঙ্গিরা সীমান্ত ফটকটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছিল। তারা গাড়ি বোমা হামলাও চালিয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের রুখে দিয়েছি।”

পেশমেরগা ছাড়াও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিরোধী ডজনখানেক অস্ত্রধারী দলের প্রায় ২০০ যোদ্ধাও কোবানিতে প্রবেশ করেছে। তারা সবাই দ্য ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) পক্ষ থেকে কোবানির প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেবে।

ওদিকে, কোবানিতে মিত্রবাহিনীর শুক্রবারের বিমান হামলায় অন্তত ২১ জন ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’।

৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আইএস জঙ্গিরা কোবানি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আইএস কে রুখতে কোবনির কুর্দি যোদ্ধারা প্রাণপনে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কিন্তু অবরুদ্ধ থাকায় অস্ত্র ও রসদের অভাবে তাদের পক্ষে যুদ্ধ করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পেশমেরগা বাহিনীর আগমন তাদের প্রতিরোধ যু্দ্ধে গতি আনবে। পেশমেরগা বাহিনীর কামান ও পিকআপে বহনযোগ্য মেশিন গানের মতো অস্ত্রও রয়েছে।

পেশমেরগা বাহিনীর সিরিয়া প্রবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুরস্কের তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী’ বাহিনীকে সিরিয়ায় প্রবেশ করতে দিয়ে তুরস্ক ‘খুবই লজ্জাজনক কাজ’ করেছে।

এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। তবে আঙ্কারা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা সিরিয়ায় কোন সেনা পাঠাবে না।