স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, মহিলাদের টয়লেটের ভেতরে মৃতদেহটি পাওয়া যায়।
এপ্রিলে ৪৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ‘সেউল’ নামের ফেরিটি। দুর্ঘটনার পর ওই ফেরির মাত্র ১৭২ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
ওই সময় সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ২৯৫ বলা হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। পরে উদ্ধারকর্মীরা আরো ৯টি মৃতদেহ খুঁজে পায়। এরপর গত তিনমাসের মধ্যে প্রথম ওই যাত্রীর লাশ উদ্ধার হল।
এর আগে সর্বশেষ মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছিল ১৮ জুলাই। ওই মৃতদেহটি ছিল ফেরির একজন নারী রাধুঁনির। ফেরির ক্যাফেটেরিয়ায় মৃতদেহটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইয়োনহাপ। নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরা নিমজ্জিত ফেরিটি তুলতে দিচ্ছে না। তাদের আশঙ্কা ফেরিটি তুলতে গেলে মৃতদেহগুলো সাগরে ভেসে যেতে পারে।
ফেরিটি ডুবে যাওয়ার কারণ হিসেবে নিয়ম মেনে না বানানো, অতিরিক্ত মাল বোঝাই করা এবং অনভিজ্ঞ ক্রুরা ফেরিটি চালাচ্ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
ফেরির ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য ক্রুদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নরহত্যার মামলা রয়েছে।
গুয়ানজুর একটি আদালতে এই মামলার বিচার কাজ চলছে। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শাস্তি হিসেবে ক্যাপ্টেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
এছাড়া, অন্যান্য ক্রুদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আর্জি জানানো হয়েছে। নভেম্বরে এ মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।