ভোটের আগাম ফলে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো এবং প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনিয়ুকের ব্লক দুইই ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
৩০ শতাংশ ভোট গণনায় পোরোশেঙ্কোর ব্লক পেয়েছে ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইয়াতসেনিয়ুকের ব্লক ২১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১০ দশমিক ৭৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম ইউক্রেইনের সেলফ হেলপ। এরপর ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ইয়ানুকোভিচের মিত্রদের নিয়ে গঠিত এবং সাবেক জ্বালানিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বিরোধী ব্লক।
সোমবার প্রকাশিত আংশিক ভোট গণনায় ৪৫০ টি আসনের মধ্যে ২২৫ টির ফল পাওয়া গেছে। নির্বচনী আসনগুলোর ভোটের ফল পেতে আরো কয়েকদিন লাগবে।
গণতান্ত্রিক, সংস্কারবাদী, ইউক্রেইনপন্থি এবং ইউরোপীয়-পন্থি সংখ্যাগরিষ্ঠকে ভোটে সমর্থন দেয়ার জন্য ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো।
রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে কোনো ভোট হয়নি।
দোনেস্ক এবং লুহান্সকে বেশ কিছু সংখ্যক আসন খালি থাকবে। একই অবস্থা থাকবে ক্রিমিয়াতেও। গত মার্চে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের রুশপন্থি বিদ্রোহীরা আগামী রোববার তাদের নিজেদের নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটিতে এটিই প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়া নিয়ে চুক্তি করতে ইয়ানুকোভিচ অস্বীকৃতি জানানোয় তার ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পট প্রস্তুত হয়।