জেনেভায় আয়োজিত এ বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাসহ ভ্রমণের ওপর বাধা-নিষেধ আরো কড়াকাড়ি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের নতুন নিয়মে পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা আক্রান্ত তিনটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরকে ৫ টি বিমানবন্দরের কোনো একটি দিয়ে সেদেশে প্রবেশ করা এবং তার আগে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষারও সম্মুখীন হতে হবে।
নতুন এ নিয়মে সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া এবং গিনি থেকে আসা ভ্রমণকারীদেরকে এখন শিকাগোর ও’হারে, জেএফকে, নেওয়ার্ক, ওয়াশিংটনের ডালাস কিংবা আটলান্টা বিমানবন্দরে পৌঁছে গন্তব্যে যেতে হবে।
ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫ শ’র বেশি মানুষ মারা গেছে। এদের বেশির ভাগই মারা গেছে গিনি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে।
ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ধীরগতির জন্য ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। এ ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সংস্থাটির জরুরি কমিটি এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আলোচনায় বসছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ মাসে লাইবেরিয়া থেকে আসা এক ব্যক্তি ইবোলা সংক্রমণে মারা যাওয়া এবং তার চিকিৎসায় নিয়োজিত দুইজন নার্স ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটিতে এ ভাইরাসজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভ্রমণের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এর মহাসচিব এলহাজ আস সি অবশ্য ইবোলা মহামারি ঠেকাতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “আতঙ্কের কারণে সময় সময় আমরা সীমান্ত বন্ধ করা, ফ্লাইট বাতিল করা এবং মহামারি ছড়িয়ে পড়া দেশগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার মতো অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিই। কিন্তু আসলে সবাই একযোগে এ ধরনের ভাইরাস নির্মূল করার চেষ্টা নেয়াটাই হতে পারে সমস্যার একমাত্র সমাধান”।