চলে গেলেন ওয়াশিংটন পোস্টের ‘স্বর্ণযুগের’ সম্পাদক ব্র্যাডলি

ওয়াটারগেইট কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিয়ে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট যখন বিশ্বজুড়ে আলোচনায়, পত্রিকাটির সেই সময়ের সম্পাদক বেন ব্র্যাডলি আর নেই।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 02:38 AM
Updated : 22 Oct 2014, 03:44 AM

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে নিজের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। ব্র্যাডলির বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

১৯৬৮ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ওয়াশিংটন পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন ব্র্যাডলি। বলা হয়, তার নেতৃত্বেই পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সমীহজাগানো সংবাদপত্রে পরিণত হয়।

১৯৭২ সালে নির্বাচন সামনে রেখে ওয়াশিংটনের ওয়াটারগেইট ভবনে ডেমোক্র্যাট দলের কার্যালয়ে আড়িপাতার যন্ত্র বসায় ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানরা। সেই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ওয়াশিংটন পোস্টের ধারাবাহিক প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে, ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন।

ওয়াশিংটন পোস্টের সাবেক প্রকাশক ডোনাল্ড গ্রাহাম বলেন, “তার সময়ে বেন ব্র্যাডলি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা সম্পাদক। আধুনিককালের সম্পাদকদের মধ্যে তিনিই এ সংবাদপত্রের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছেন।”

২০১৩ সালে ব্র্যাডলিকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘দ্য প্রেসিডেন্ট মেডাল অব ফ্রিডম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

খেতাব প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “তিনি (ব্র্যাডলি) ওয়াশিংটন পোস্টকে বিশ্বের অন্যতম সেরায় পরিণত করেছিলেন।”
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেয়া ব্র্যাডলি ১৯৫০ সালে সাংবাদিকতায় যোগ দেন। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তৎকালীন সিনেটর ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হন।
১৯৬৫ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব নেন ব্র্যাডলি; এর তিন বছর পর পান নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব।
“১৯৬৫ সালের যে মূহুর্তে তিনি নিউজরুমের দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই পোস্টকে গতানুগতিক মেট্রোপলিটন দৈনিকের ছাঁচের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ একটি দৈনিকে রূপান্তরিত করার ওপর জোর দেন তিনি,” মৃত্যুর পর ব্র্যাডলির সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্তে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।