‘ইবোলা বিস্তার রোধে ব্যর্থ হয়েছে ডব্লিউএইচও’

দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অদক্ষ কর্মীদের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আফ্রিকায় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2014, 09:25 AM
Updated : 18 Oct 2014, 09:25 AM

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাঁস হওয়া এক প্রতিবেদন সূত্রে শুক্রবার রাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা “দেয়ালের পরিষ্কার সরল লেখাগুলো দেখতে ব্যর্থ হয়েছেন”।

এছাড়া ইবোলা প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে বেশ কিছু ব্যর্থতার ঘটনাও ঘটেছে বলে আলাদাভাবে স্বীকার করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র।

ফাঁসকৃত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডব্লিউএইচও মার্চে গিনি থেকে প্রথম ইবোলা সংক্রমণের প্রতিবেদন পেয়েছিল। কিন্তু প্রতিবেদন পাওয়ার কয়েকমাস পর এটি প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় নামে সংস্থাটি।

এপ্রিলে চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছিল। কিন্তু ওই সময় এমএসএফ’র এই সতর্কতার সঙ্গে দ্বিমত করেছিল ডব্লিউএইচও।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রাদুর্ভাবটি প্রতিরোধ করার কাজে নিয়োজিত প্রায় সবাই দেয়ালের সরল লিখনগুলো দেখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।”

প্রাদুভার্বের সময় চিত্র দেয়া খসড়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অরক্ষিত সীমান্ত ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দেশগুলোতে (গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া) স্থানীয়ভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে সংক্রামক রোগ ঠেকানোর ব্যবস্থা কাজ করবে না, এটি বিশেষজ্ঞাদের বোঝা উচিত ছিল।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইবোলা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র মাঠ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা যে সব ব্যর্থতার নজির রেখেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

>ডব্লিউএইচও’র মাঠ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা জেনেভায় প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে ইবোলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

>আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় গিনিয়ার ইবোলা প্রতিরোধে পাঠানো পাঁচ লাখ ডলার ঠিক সময়ে না পৌঁছানো।

>ভিসার ব্যবস্থা করতে না পারায় উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসকরা যেতে পারনেনি, ইত্যাদি।

প্রকাশিত এসব অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, ডব্লিউএইচও’র গ্লোবাল রেসপন্স ও এলার্ট’র প্রধান ইসাবেলে নুট্টাল বিবিসিকে বলেছেন, “তদন্ত করার সময় হয়েছে।”

ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে, মারাত্মক ইবোলা সংক্রমণে আক্রান্ত দেশ লাইবেরিয়া, গিনি ও সিয়েরা লিওনে রোগটিতে এ পর্যন্ত ৯,১৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে ৪,৫৪৬ জন মারা গেছেন।