শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল প্যাট্রিক রাইডার জানিয়েছেন, তথ্য না থাকলেও আইএস’র তৎপরতার বিষয়ে কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাইডার বলেছেন, “সিরিয়া বা অন্য কোথাও আইএসআইএল (আইএস) কোনো জঙ্গি বিমান অভিযান চালাচ্ছে কিনা সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। সিরিয়া ও ইরাকে তাদের (আইএস) তৎপরতার দিকে আমরা কড়া নজর রাখছি।”
“তারা যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের যুদ্ধ সরঞ্জাম, যুদ্ধ স্থাপনা, যোদ্ধা ও কেন্দ্রস্থলগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে যাব।”
যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইরাকি পাইলটরা আইএস’এ যোগ দিয়েছে এমন খবর তিনি নিশ্চিত করতে পারছেন না।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “আইএসআইএল’র স্থল অভিযানে সহায়তা করার জন্য গোষ্ঠীটি জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে এমন কোনো অভিযানের খবর আমাদের কাছে নেই, তাই আমি এটি নিশ্চিত করতে পারবো না।”
“আর পাইলটরা স্বপক্ষ ত্যাগ করে আইএসআইএল’এ (আইএস) যোগ দিয়েছে, এমন কোনো তথ্যও আমার কাছে নেই,” বলেন তিনি।
শুরুর সময় থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করে আসা যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’র পরিচালক রামি আব্দুলরহমান শুক্রবার বলেছেন, আলেপ্পোর পূর্বদিকে দখলকৃত আল জারাহ সামরিক বিমানবন্দরের উপরে তিনটি বিমান উড়িয়েছে আইএস জঙ্গিরা।
সামরিক বিমানবন্দরটি দখল করার সময় এসব জঙ্গি বিমান আইএস’র হাতে আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।