আইএস’র জঙ্গি বিমান, নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

আইএস সিরিয়া অথবা অন্য কোথাও বিমান অভিযান চালিয়েছে বলে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড।

>>রয়টার্স
Published : 18 Oct 2014, 08:24 AM
Updated : 18 Oct 2014, 08:24 AM

শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল প্যাট্রিক রাইডার জানিয়েছেন, তথ্য না থাকলেও আইএস’র তৎপরতার বিষয়ে কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাইডার বলেছেন, “সিরিয়া বা অন্য কোথাও আইএসআইএল (আইএস) কোনো জঙ্গি বিমান অভিযান চালাচ্ছে কিনা সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। সিরিয়া ও ইরাকে তাদের (আইএস) তৎপরতার দিকে আমরা কড়া নজর রাখছি।”

“তারা যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের যুদ্ধ সরঞ্জাম, যুদ্ধ স্থাপনা, যোদ্ধা ও কেন্দ্রস্থলগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে যাব।”

যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইরাকি পাইলটরা আইএস’এ যোগ দিয়েছে এমন খবর তিনি নিশ্চিত করতে পারছেন না।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “আইএসআইএল’র স্থল অভিযানে সহায়তা করার জন্য গোষ্ঠীটি জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে এমন কোনো অভিযানের খবর আমাদের কাছে নেই, তাই আমি এটি নিশ্চিত করতে পারবো না।”

“আর পাইলটরা স্বপক্ষ ত্যাগ করে আইএসআইএল’এ (আইএস) যোগ দিয়েছে, এমন কোনো তথ্যও আমার কাছে নেই,” বলেন তিনি।

শুরুর সময় থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করে আসা যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’র পরিচালক রামি আব্দুলরহমান শুক্রবার বলেছেন, আলেপ্পোর পূর্বদিকে দখলকৃত আল জারাহ সামরিক বিমানবন্দরের উপরে তিনটি বিমান উড়িয়েছে আইএস জঙ্গিরা।

সামরিক বিমানবন্দরটি দখল করার সময় এসব জঙ্গি বিমান আইএস’র হাতে আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের আমলের বিমানবাহিনীর পাইলটরা আইএস-এ যোগ দিয়ে গোষ্ঠীটির যোদ্ধাদের বিমান চালনা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আইএস’র বিমানগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা দিয়ে উড়েছে এবং কোনোটিই ১০ মিনিটের বেশি আকাশে থাকেনি।
এই সংবাদের বিষয়ে সিরীয় সরকারের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি এবং সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও এসব সংবাদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনানুযায়ী বিমানগুলোকে মিগ ২১ ও মিগ ২৯ বলে মনে করা হচ্ছে। এসব বিমান সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হতে পারে। তবে এগুলোতে কোনো যুদ্ধাস্ত্র আছে কিনা এবং বিমানগুলোর পাইলটরা দীর্ঘ দূরত্বে উড়তে পারেন কিনা, সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।