কার্বন নির্গমন কমাবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2014, 01:52 PM
Updated : 24 Sept 2014, 01:52 PM

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝং জিওলি বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ তার দেশ কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টার চেয়েও দ্রুত গতিতে ঘটছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে অন্যান্য দেশ নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দায়দায়িত্ব রয়েছে।

২০০৯ সালের কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনের পর পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে এটি বিশ্বনেতাদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। আগামী বছর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে ১২০টি সদস্য রাষ্ট্রকে নতুন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে উৎসাহ দেয়া হয় সম্মেলন থেকে।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় এর আগে এতো অধিক সংখ্যক সরকার প্রধানের সম্মিলন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

এর আগে জাতিসংঘের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, বিশ্বে ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বৃদ্ধি পরিবেশের ওপর অপ্রতিরোধ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বৃহৎ পরিসরের বন্যা হতে পারে, ফসল উৎপাদনেও পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব।

সম্মেলনে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দায়িত্বশীল ও শীর্ষ উন্নত দেশ হিসাবে চীন জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানে বড় ধরনের উদ্যোগ নেবে। নিজেদের সামর্থে্যর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক দায়-দায়িত্ব নেবে তার দেশ।

ঘটনাস্থল থেকে বিবিসি’র প্রতিনিধি জানান, এই প্রথম চীন কার্বন নির্গমন কমাতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা তার ভাষণে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় তিনি চীনের (উপ-প্রধানমন্ত্রীর) সঙ্গে আলাপ করেছেন।

জলবায়ু সমস্যা নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নির্গমনকারী দু’দেশেরই দায়দায়িত্ব রয়েছে বলে তারা একমত হন। তবে সব দেশেরই একটা ভূমিকা থাকতে হবে।
“জলবায়ু সমস্যা সৃষ্টিতে আমরা দায়িত্ব স্বীকার করছি।”

সমস্যা সমাধানে নিজেদের দায়িত্বের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওবামা।