রোববার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আলোচিত এ ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস।
সিআইএ ও ইসলামিক স্টেটের কথিত আঁতাতের গুজব বাগদাদের রাস্তা থেকে সরকারের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত আলোচিত হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা বাগদাদের এ তত্ত্বে আস্থাশীলদের বিশ্বাস এতটুকু কমাতে পারেনি।
শনিবার শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল সদরের ডাকে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য স্থলসেনা মোতায়েনের বিষয়ে সতর্ক করে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ওই সমাবেশে ইরাকের একজন উপপ্রধানমন্ত্রী বাহা আল আরাজি বলেছেন, “আইএস’কে কারা তৈরি করেছে তা আমরা জানি।”
এর আগে গত সপ্তাহে আল সদর প্রকাশ্য এক বক্তৃতায় আইএস’কে তৈরি করার জন্য সিআইএ’কে দায়ী করেছেন। ইরাকি পার্লামেন্টের কয়েক ডজন সদস্যসহ জনসভায় উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষও এমনটিই মনে করেন বলে জানিয়েছেন টাইমসের প্রতিবেদক।
উপপ্রধানমন্ত্রী আরাজি’কে যুক্তরাষ্ট্রের এক সাংবাদিক, আইএস’র বিষয়ে সিআইএ’কে দায়ী করার বিষয়টি খোলসা করে্ বলতে বললে তিনি কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে বলেন, “আমি জানি না। আমি ওই সাধারণ মানুষেরই একজন।”
তবে নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যেতে যেতে তিনি বলেন, “কিন্তু আমরা অনেক শঙ্কায় আছি। ধন্যবাদ।”
২০০৩ সালে ইরাক দখলের এক দশকেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আবার ইরাকে ফেরার সম্ভবনায় ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বাগদাদবাসীদের মনে গভীর সংশয় তৈরি করেছে।
এই সংশয়ের বিষয়ে একমত ৪০ বছর বয়সী হায়দার আল আসাদি বলেন, “আইএস পরিষ্কারভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি, আর আইএস’র অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র ফের ইরাক দখল করার চেষ্টা করছে।”
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলসেনা পাঠানো হবে না বলে ওবামা প্রতিশ্রুতি দিলেও খুব কম ইরাকিই তার কথা বিশ্বাস করেছেন।
বাগদাদবাসী রাদ হাতেম বলেন, “আমরা তাকে বিশ্বাস করি না।”