আল শাবাবের ‘হামলা পরিকল্পনায়’ সতর্ক উগান্ডা

উগান্ডার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমালি জঙ্গিগোষ্ঠি আল শাবাবের একটি “সন্ত্রাসী সেল”কে চিহ্নিত করেছে এবং গোষ্ঠিটি কাম্পালায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

>>রয়টার্স
Published : 14 Sept 2014, 08:10 AM
Updated : 14 Sept 2014, 08:10 AM

শনিবার এ বিষয়ে সতর্ক করে উগান্ডায় নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

এক ট্যুইটার বার্তার মাধ্যমে নিজ দেশের নাগরিকদের হয় বাসায় নয়তো নিরাপদ কোনো স্থানে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পরে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানিয়েছে, কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে তা জানা না থাকলেও উগান্ডা কর্তৃপক্ষ কাম্পালার ইন্তেব্বি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ উগান্ডার কর্তৃপক্ষ কাম্পালায় আল শাবাব সন্ত্রাসীদের সেল আবিষ্কার করার কথা জানিয়েছে। একটি আসন্ন হামলা পরিকল্পনার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আমরা উগান্ডা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছি।”

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে উগান্ডার পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাজধানী কাম্পালার কেন্দ্রিয় অংশে একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা উদঘাটন করেছে এবং এ কারণে হোটেল ও অন্যান্য গণজমায়েতের স্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করছে।

পুলিশ বলেছে, হামলা পরিকল্পনা উদঘাটনের পর তারা বেশ কয়েকজন বিদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।

তবে কারা এ হামলার পরিকল্পনা করেছে তা জানাতে অস্বীকার করেছে পুলিশ।

উগান্ডা পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনানগা গ্রেপ্তারদের জাতীয়তা এবং তারা আল শাবাবের সঙ্গে জড়িত কিনা সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

সোমালিয়ায় আল শাবারের জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইরত আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তিরক্ষীদের মধ্যে উগান্ডার সেনারাও রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে এবং আল শাবাব দেশটিতে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমান হামলায় দক্ষিণ-মধ্য সোমলিয়ায় আল শাবাবের শীর্ষ নেতা আহমেদ গোদানে নিহত হওয়ার পর এর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠিটি।

২০১০ সালে লোকজন টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ দেখার সময় উগান্ডার একটি বারে বোমা হামলা চালিয়েছিল আল শাবাব। গত বছর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি অভিজাত বিপণীবিতানে হামলা চালিয়ে ৬৭ জনকে হত্যা করেছিল উগ্রপন্থী সংগঠনটি।