শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ডন অনলাইন।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদলতের বিচারক ইফতেখার আব্বাসি শুক্রবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ জারি করে কাদরি ও আন্দোলনকারীদের ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২২ অগাস্ট কাদরির বিরুদ্ধে আরো একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। কিন্তু ইসলামাবাদে একটি অবস্থান ধর্মঘটে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
কাদরি এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খান, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতে ১৫ অগাস্ট থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে। ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য নওয়াজকে অভিযুক্ত করেছেন তারা।
তারপর থেকে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সরকারবিরোধী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকগুলো অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এসব ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধের কারণে দেশটির দৈনন্দিন জীবন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।
পুলিশ দাবি করেছে, ৮ অগাস্ট মিছিলের সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৭৬ পুলিশকে কর্মকর্তাকে আহত করার সঙ্গে পিএটি’র ওই ৭১ আন্দোলনকারী জড়িত ছিলেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ওই আন্দোলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ।
শুক্রবার সরকারের সঙ্গে পিটিএ ও পিটিআই’র আলোচনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত থাকে। এই আলোচনায় সরকারের অনুরোধে পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী মধ্যস্থতা করলেও কোনো লাভ হয়নি।
বৃহস্পতিবার ইমরান ও কাদরি, সেনাপ্রধানকে মধ্যস্থতাকারী ও চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রতিশ্রুতিদাতা হিসেবে মেনে নেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ শুক্রবার আলাদাভাবে ইমরান ও কাদরির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ওই দুই নেতা আলোচনা এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত হন।
এদিকে, নেওয়াজ পার্লামেন্টকে জানান, কাদরি ও ইমরান জেনারেল শরিফের সঙ্গে বৈঠক করার অনুরোধ করেছেন এবং ওই দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তিনি সেনাপ্রধানকে অনুমতি দিয়েছেন।