বিশ্বে সবচে অসুখী ইংরেজ শিশুরা

পশ্চিমা বিশ্বসহ অন্যান্য অনেক দেশেই ইংরেজ শিশুরা সবচেয়ে অতৃপ্তি নিয়ে জীবনযাপন করে এবং নিজেদেরকে চরম অসুখী মনে করে বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2014, 02:17 PM
Updated : 28 August 2014, 06:20 PM

লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘দ্য চিলড্রেন’স সোসাইটি’র জরিপ প্রতিবেদনের (দ্য গুড চাইল্ডহুড রিপোর্টের) বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ পত্রিকা বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে।

‘গুড চাইল্ডহুড’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ৩৯টি দেশের মধ্যে আনন্দময়ী আর প্রফুল্ল শৈশব যাপনকারীদের তালিকায় ইংলিশ শিশুরা ৩০তম।

অন্য একটি গবেষণায় দৈবচয়নের মাধ্যমে বেছে নেয়া বিশ্বের ১১ টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, ইংরেজ শিশুরা আলজেরিয়া এবং রোমানিয়ার পর তাদেরকেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অসুখী বলে মনে করে।

মানসিক, বাহ্যিক প্রশান্তি ও সার্বিক অবস্থা নিয়ে শিশুদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়।

ব্রিটনের পাঁচ হাজার শিশুর মতামত নিয়ে চিলড্রেন’স সোসাইটি প্রতিবেদনটি তৈরি করে। সার্বিক দিক বিবেচনায় তুলনামূলক কম বয়সী শিশুরাই বেশি সুখী বলে জানতে পেরেছে জরিপকারীরা। তবে এদের সবাই তাদের ভবিষ্যৎ জীবন ও বাহ্যিকতা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ভাব দেখিয়েছে।

১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী ইংলিশদের মধ্যে ১৩ শতাংশ নিজেদের বেশভূষা (বাহ্যিকতা) নিয়ে অতৃ্প্তি জানিয়েছে। এক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা নিজেদেরকে বেশি অসুখী ভাবে।

১২ বছর বয়সী এক মেয়ে গবেষকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “বাহ্যিকতা দেখেই মানুষ বিচার করে। দেখতে খুব চমৎকার না দেখা গেলে আপনি তখন আর নিজেকে সেভাবে উপভোগ করতে পারবেন না।”

মেয়েদের ক্ষেত্রে টিনেজ বয়সটা সবচেয়ে অসুখী। আট বছর বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাত্র চার শতাংশ অসুখী। আবার ১৫ বছরের মেয়েদের বিবেচনা করলে ১৪ শতাংশকে দেখা যায় অসুখী।

১৪ থেকে ১৫ বছর বয়স শিশুদের সবচেয়ে খারাপ সময়। এর পরের কয়েকটি বছর তুলনামূলক ভালোই যায় শিশুদের।

সব মিলিয়ে জরিপে দেখা যায়, আট থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন টিনেজারের জীবন নিয়ে পরিতৃ্প্তি সবনিম্ন পর্যায়ে।