পশ্চিম আফ্রিকায় প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাস মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ‘আন্তর্জাতিক সতর্কতা’ জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
Published : 08 Aug 2014, 04:26 PM
এবোলার বিস্তার ঠেকাতে করণীয় নির্ধারণে সুইজ্যারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞদের দুই দিনের বৈঠক শেষে শুক্রবার এই ঘোষণা এলো।
লাইবেরিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন ও নাইজেরিয়াতেও এবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে এ পর্যন্ত ৯৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এবোলা মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ায় লাইবেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে সে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, এবোলা যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা ‘অভাবনীয়’। এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আরো ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণতি হবে মারাত্মক।
ডব্লিউএইচওর পরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেন, এ ভাইরাস এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে যে তা ঠেকানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জরুরি পরিস্থিতি’ ঘোষণা করায় নজরদারি ও সতর্কতা আরো বাড়বে। দেশগুলো এ বিষয়টিতে মনযোগী হবেন।
যেসব দেশে এবোলা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে সেখানে আন্তর্জাতিকভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চ্যান বলেন, কেবলমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একা এ মহামারি সামাল দিতে পারবে না।
পশ্চিম আফ্রিকার যেসব দেশে এবোলা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে ভ্রমণ ও বাণিজ্য বন্ধ রাখার কোনো সুপারিশ এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করেনি। তবে বিমানবন্দরসহ সব জায়গাতেই এবোলা সনাক্ত করা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা জরুরি বলে সতর্কতায় জানিয়েছে।
এবোলা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশই মারা যাচ্ছিলেন। তবে বর্তমানে তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, রক্তক্ষরণ, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, ডায়রিয়া ও বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমণের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে।
থুথু ও ঘামের মাধ্যমেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।