গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে ইসরায়েলি হামলাকে ‘অনৈতিক ও অপরাধমূলক’ কর্মকাণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
Published : 04 Aug 2014, 09:13 AM
রোববার রাফা শহরের ওই স্কুলে ইসরায়েলি বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হন। ওই স্কুলটি আশ্রয়শিবির হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল ফিলিস্তিনিরা।
এর তীব্র সমালোচনা করে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে বলেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনেরও লংঘন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, ইসরায়েলের এই ন্যক্কারজনক হামলায় তার দেশ হতবাক।
এদিকে গাজার অধিকাংশ এলাকায় সোমবার সাত ঘণ্টার জন্যে ‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
তবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে এই অস্ত্রবিরতি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা রাফার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরদেশাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিমান থেকে ছোড়া ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র রাফার জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটির প্রবেশপথে আঘাত হনে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অন্তত ৩ হাজার মানুষ ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইসরায়েলি হামলায় কেবল রোববারই ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
গত ১০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে তিনবার ইসরাইলি সেনারা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে হামলা চালাল। গত বুধবারও ইসরাইলি ট্যাংকের গোলায় গুঁড়িয়ে গেছে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শহরের একটি স্কুল। ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন।
এর আগের সপ্তাহে একইভাবে আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
প্রায় একমাস ধরে ইসরায়েলের ত্রিমুখী সেনা অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন নয় হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ বলছে, এই হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
ইসরায়েল গাজায় ‘বেসামরিক জনগণ ও স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্য’ করে যুদ্ধাপরাধ করছে বলেও হুঁশিয়ার করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
জাতিসংঘের আঞ্চলিক মানবাধিকার সমন্বয়ক জেমস রাওলি বলেন, গাজায় এ পর্যন্ত ৩৩০টি শিশু নিহত হওয়ার তথ্য তারা পেয়েছেন।
“প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একটি শিশুকে তারা হত্যা করছে।”